Monday, August 10, 2015

বই – ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম (ফ্রি ডাউনলোড)

                                   বই – ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম (ফ্রি ডাউনলোড)
বই – ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম (ফ্রি ডাউনলোড)



বই – ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম
মূল: শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহ.)
অনুবাদক: আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী ও মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল-কাফী
লিসান্স: মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ ইসলামি জ্ঞানের জগতে “ফতোয়া আরকানুল ইসলাম” অত্যন্ত মূল্যবান বই। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ব অর্থ্যাৎ (ঈমান, নামায, রোজা, হজ্জ ও যাকাত) সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের অন্ত নেই, জিজ্ঞাসার শেষ নেই। তাই নির্ভরযোগ্য প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, যুগের অন্যতম সেরা গবেষক আল্লামা শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমীন (রহঃ) ঐ সকল জিজ্ঞাসার দলীল ভিত্তিক নির্ভরযোগ্য জবাব প্রদান করেছেন। প্রতিটি জবাব পবিত্র কুরআন ও রাসুলূল্লাহ (সাঃ) এর বিশুদ্ধ হাদীসও পুর্বসুরী নির্ভরযোগ্য উলামাদের মতামত থেকে দেয়া হয়েছে। আশা করি পাঠকের মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন এ বই থেকে। পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৯৭
এই বইটিতে Interactive Link অ্যাড করা হয়েছে। মানে আপনি যখন সূচীপত্র থেকে কোন বিষয় পড়তে চাবেন, তখন আপনাকে কষ্ট করে বিষয়টা খুঁজতে হবে না। আপনি সুধু বিষয়টির উপর ক্লিক করলেই, আপনাকে সেই বিষয়টি তাৎক্ষণিক দেখানো হবে। আবার বইটির বাম দিকে Bookmark অপশনে ক্লিক করলে, আপনাকে সূচীপত্র দেখাবে।

বইটি পিডিএফ ভার্সনে দেয়া হয়েছে। তাই বইটি ডাউনলোড করে পড়ার জন্য আপনার কম্পিউটারে এডোবরিডার থাকা অবশ্যক । এই লিন্ক থেকে সফটোওয়্যারটি ডাউনলোড করুন ।

                                     বই – ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম (ফ্রি ডাউনলোড)

বুখারী শরীফের বাংলা অনুবাদ - (১ থেকে ১০ খণ্ড) (ফ্রি ডাউনলোড)

বুখারী শরীফের বাংলা অনুবাদ - (১ থেকে ১০ খণ্ড) (ফ্রি ডাউনলোড)

বুখারী শরীফের বাংলা অনুবাদ - (১ থেকে ১০ খণ্ড) (ফ্রি ডাউনলোড)

                                                                  ফ্রি ডাউনলোড করুন

Author: Abu Abdullah Muhammad Ibn Ismail al-Bukhari Al-Jufi (Rahmatullah)
Publisher: Islamic Foundation Bangladesh
Agargao, Sher-E-Bangla Nagar, Dhaka 1207
Phone:+880 29115010
Fax: 880-2-9144235
E-mail: info@islamicfoundationbd.org
You will need Adobe Reader to read the hadith book. You can download this free software from here http://get.adobe.com/reader/

বুখারী শরীফের বাংলা অনুবাদ - (১ থেকে ১০ খণ্ড) (ফ্রি ডাউনলোড)ZIP File-[135 MB]

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান (১ম পর্ব)

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান (১ম পর্ব)

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান (১ম পর্ব)

সূচীপত্র


১ ভূমিকা


২ প্রথম পরিচ্ছেদ: সাধারণ বিধান



৩ ইসলাম পূর্ব নারীর মর্যাদা


৪ ইসলামে নারীর মর্যাদা


৫ ইসলামের শত্রু ও তার দোসররা নারীর ইজ্জত হরণ করে কী চায়?

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান (২য় পর্ব)

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান (২য় পর্ব)

মুমিন নারীদের বিশেষ বিধান (২য় পর্ব)

পঞ্চম পরিচ্ছেদ
নারীদের সালাত সংক্রান্ত বিশেষ হুকুম

হে মুসলিম নারী, সালাতের সকল শর্ত, রুকন ও ওয়াজিবসহ উত্তম সময়ে সালাত আদায় কর। আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের মায়েদের উদ্দেশ্যে বলেন:
﴿وَأَقِمۡنَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتِينَ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَطِعۡنَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُ﴾ [الاحزاب: ٣٣]
“আর তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য কর”। [সূরা আল-আহযাব, আয়াত: ৩৩]

Monday, August 3, 2015

সুন্নতের আলো ও বিদআতের আঁধার

সুন্নতের আলো ও বিদআতের আঁধার

                                                 
সুন্নতের আলো ও বিদআতের আঁধার
সুন্নতের আলো ও বিদআতের আঁধার

ভূমিকা

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করি, তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি। তাঁর কাছে স্বীয় কু-রিপু ও অসৎ কর্মের অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাই। তিনি যাকে হেদায়াত দেন তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন তাকে কেউ হেদায়াত দিতে পারে না।

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ্‌ছাড়া সত্যিকারের কোন মা'বুদ নেই। তিনি এক, তাঁর কোন শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর, তাঁর পরিবারবর্গ, সাহাবায়ে কেরাম এবং কিয়ামত পর্যন্ত আগত তাঁর সকল অনুসারীর উপর।

রজব মাস সম্পর্কে জ্ঞাতব্য

রজব মাস সম্পর্কে জ্ঞাতব্য


                                                                  
  রজব মাস সম্পর্কে জ্ঞাতব্য

                                                          রজব মাস সম্পর্কে জ্ঞাতব্য

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَرَبُّكَ يَخْلُقُ مَا يَشَاءُ وَيَخْتَارُ (القصص:68)
আপনার পালনকর্তা যা ইচ্ছে সৃষ্টি করেন এবং পছন্দ করেন। (সূরা কাসাস : ৬৮)
অর্থাৎ স্বীয় সৃষ্ট বস্তু হতে কিছু মনোনীত করেন, শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার ঘোষণা দেন। যেমন তিনি মনোনীত করেছেন কয়েকটি দিন, কয়েকটি মাস ; সম্মান, শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা প্রদান করেছেন, অন্য সব দিন ও মাসের উপর।

শরীয়তের মানদণ্ডে রজব মাসের ফজিলত

শরীয়তের মানদণ্ডে রজব মাসের ফজিলত

                                                         
শরীয়তের মানদণ্ডে রজব মাসের ফজিলত
 

                                              শরীয়তের মানদণ্ডে রজব মাসের ফজিলত

সীমাহীন প্রজ্ঞার দাবি অনুযায়ী আল্লাহ তা আলা কিছু মাস ও দিবসকে অন্যান্য মাস ও দিবসের উপর মর্যাদাপূর্ণ করেছেন। উদ্দেশ্য সৎ কর্ম সম্পাদনে মানুষের প্রেরণা উৎসাহে নতুন মাত্রা সংযোগ করা। অধিক মাত্রায় আমলে সালেহ করে উৎকর্ষ সাধনের পথ সুগম করা। তবে মানব ও জিন জাতির দুষ্টচক্র আল্লাহর বান্দাদেরকে সরল পথ থেকে বিচ্যুত করতে সদা সক্রিয়। তাইতো অবস্থান নিয়েছে সম্ভাব্য সকল পথে যা কিছু উত্তম তা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যত্র সরিয়ে নিতে। আল্লাহর রহমত ও করুণা প্রাপ্তির মৌসুম অসার কর্ম, আয়েশ আস্বাদন, প্রবৃত্তিচর্চা ও অযাচিত সুখ উপভোগের উপযুক্ত সময় হিসেবে উপস্থাপন করে।
পরিচ্ছন্ন হৃদয় তবে ধর্ম বিষয়ে জাহিল, অথবা স্বার্থলুব্ধ ব্যক্তি , ধর্মীয় বা সামাজিক নেতৃত্ব ধরে রাখার লিপ্সা যাকে তাড়িয়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত এরূপ ব্যক্তিদের শয়তান উৎসাহ প্রদানের পাত্র বানায়। সৎকর্ম চর্চা ও সুন্নত অনুসরণে অধিক মাত্রায় সচেতন হতে হবে এমন মূহুর্তগুলো বিদআতপূর্ণ কর্মকাণ্ডে ভরে দিতে এদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় বহুমাত্রায়।

Saturday, August 1, 2015

মুমিনদের শাফা‘আত

মুমিনদের শাফা‘আত

মুমিনদের শাফা‘আত

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু

ক্বিয়ামতের দিন মহান আল্লাহর বিচারের পরে যারা সৎকর্মশীল তারা জান্নাতে চলে যাবে। আর মুমিনরা অন্য মুমিনদের জন্য আল্লাহর কাছে সুফারিশ করবে। ফলে বহু মানুষ জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত হাদীছটি।
আবু সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত,

একদা কতিপয় লোক জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! ক্বিয়ামতের দিন কি আমরা আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। মেঘমুক্ত দ্বিপ্রহরের আকাশে সূর্য দেখতে কি তোমাদের কষ্ট হয় এবং মেঘমুক্ত আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে কি তোমাদের কোন অসুবিধা হয়? তারা বলল না, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! এ সময় চন্দ্র-সূর্য দেখতে তোমাদের যে অসুবিধা হয় ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহকে দেখতে এর চেয়ে বেশী কোন অসুবিধা হবে না।

কোরআন-হাদীসের আলোকে শাফাআত

কোরআন-হাদীসের আলোকে শাফাআত

কোরআন-হাদীসের আলোকে শাফাআত


বিষয় সূচী

* ভূমিকা
* শাফাআতের অর্থ
* শাফাআতের প্রকারভেদ
* শরীয়ত সম্মত শাফাআতের প্রকারভেদ
* শাফাআতের মালিক কে?
* শাফাআতের পার্থক্য
* শাফাআত কখন অনুষ্ঠিত হবে?
* শাফাআত কারা করবেন?
* শাফাআতের শর্ত
* কারা শাফাআত থেকে বঞ্চিত হবে?
* শাফাআত ব্যতীত কেউ কি জান্নাতে প্রবেশ করবে?
* কার নিকট শাফাআতের দু’আ -করব?
* শাফাআতের দু’আ কীভাবে করব?
* গাইরুল্লাহর নিকট শাফাআতের দু’আ করার হুকুম
* শাফাআত সম্পর্কে মুফসসিরগণের অভিমত
* শাফাআত সম্পর্কে আকাঈদ শাস্ত্রবিদদের মতামত
* একটি বিশেষ আবেদন

নবী-রাসূল, অলী-আউলিয়া, বুজুর্গ, আলেম প্রমুখের নিকট কি শাফায়াত প্রার্থনা করা যায়? অথবা তাদের অসীলায় কি আল্লাহর নিকট কোন কিছু চাওয়া জায়েজ আছে?

নবী-রাসূল, অলী-আউলিয়া, বুজুর্গ, আলেম প্রমুখের নিকট কি শাফায়াত প্রার্থনা করা যায়? অথবা তাদের অসীলায় কি আল্লাহর নিকট কোন কিছু চাওয়া জায়েজ আছে?
নবী-রাসূল, অলী-আউলিয়া, বুজুর্গ, আলেম প্রমুখের নিকট কি শাফায়াত প্রার্থনা করা যায়? অথবা তাদের অসীলায় কি আল্লাহর নিকট কোন কিছু চাওয়া জায়েজ আছে?


১ম প্রশ্ন: অনেকে বলে, আমরা অলী-আউলিয়া ও বুজুর্গ লোকদের নিকট বিপদাপদ থেকে উদ্ধার কামনা করি। তবে তাদের নিকট আমরা যা চাই তা হল কিয়ামতের দিন যেন তারা আল্লাহর দরবারে আমাদের জন্য শাফায়াত করে। কারণ তারা সৎ লোক। আল্লাহর নিকট তাদের বিশাল মর্যাদা রয়েছে। তাই এই মর্যাদার কারণে আমরা চাই তারা আমাদের সুপারিশ করে পরকালে কঠিন বিপদ থেকে আল্লাহ আমাদেরকে উদ্ধার করবেন। এটা কি ঠিক?
——————————————————————-

আকীকা এবং এ সংক্রান্ত কিছু বিধান

আকীকা এবং এ সংক্রান্ত কিছু বিধান


আকীকা এবং এ সংক্রান্ত বিধানাবলি

আকীকা এবং এ সংক্রান্ত বিধানাবলি
যে সুন্নতগুলোর তাৎপর্য অনেক কিন্তু আমরা তার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেই না আকীকা তার অন্যতম। ইসলাম পূর্বকাল থেকে চলে আসা এই আমলের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। তিনি একে অনুমোদন করেছেন, নিজে করেছেন এবং অন্যদের করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু এ সুন্নতটি আজ বিস্মৃতপ্রায়। মুসলিমগণ এর আমল বাদ দিয়ে এর স্থলে চালু করেছেন নানা বিজাতীয় ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন রীতিনীতি।
অথচ ইসলামী মনস্তত্ত্ব বিবেচনায় আকীকার গুরুত্ব অপরিসীম। এর প্রতি আমরা উন্নাসিকতা দেখিয়ে নিজেদেরই বিপদ নিজেরাই ডেকে আনছি। হাদীসের ইঙ্গিত থেকে যেমন অনুমিত হয়, এর সঙ্গে শিশুর পার্থিব ও অপার্থিব কল্যাণ জড়িত। আমরা দেখি নব জাতকের এটা-সেটা রোগ-বালাই লেগেই থাকে। রোজই তার চিকিৎসার পেছনে, পথ্য ও ওষুধ কিনতে গিয়ে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়। হাজার হাজার টাকা আমরা অসন্তুষ্টি আর অভিযোগ নিয়ে শিশুর অসুখ-বিসুখের পেছনে ব্যয় করতে পারি অথচ আকীকার মতো চমৎকার একটি আমল করতে পারি না, একটি বা দু’টি ছাগল জবাইয়ের মাধ্যমে। যার মাধ্যমে অনেক বিপদাপদ থেকেই বেঁচে যেতে পারে আমাদের প্রিয় আত্মজ।
সাধারণ মুসলিম তো নস্যি মোটামুটি দীনদার ও ইসলামের আদর্শ চর্চাকারী ভাইয়েরাও এ সুন্নতটিকে বড় অযত্ন অনাদরে উপেক্ষা করেন। হয়তো গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে না জানার কারণে অথবা যাপিত জীবনে হাজারো সুন্নতের প্রতি উদাসীনতারই অংশ হিসেবে। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।
এ নিবন্ধের মাধ্যমে আমি আমাদের অনাদর ও উপেক্ষায় অনালোচিত ও অচর্চিত এই সুন্নতের কথাই সবাইকে স্মরণ করে দেবার প্রয়াস পেতে চাই। নিচের বিন্যাসে আমি এ সংক্রান্ত বেশ-কিছু বিষয় তুলে ধরতে চেয়েছি। এ ক্ষেত্রে আমি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য গ্রন্থের সাহায্য নিয়েছি। বিশেষভাবে যে কিতাবটির কথা না বললে অকৃতজ্ঞতার পরিচয় দেয়া হয়, তা হলো- ড. হিসামুদ্দীন আফফানা কর্তৃক সংকলিত ‘আহকামুল আকীকা’ নামক গ্রন্থ। এবার চলুন মূল আলোচনায় প্রবেশ করা যাক :

বিজয় বায়ান্ন (পাসওয়ার্ড সহ ফুল ভার্সন) - ফ্রি ডাউনলোড

বিজয় বায়ান্ন (পাসওয়ার্ড সহ ফুল ভার্সন) - ফ্রি ডাউনলোড

বিজয় বায়ান্ন (পাসওয়ার্ড সহ ফুল ভার্সন) - ফ্রি ডাউনলোড


কম্পিউটারে বাংলা লেখার কী বোর্ড বিজয় বায়ান্ন ২০১১ (পাসওয়ার্ড সহ ফুল ভার্সন) ডাউনলাড করে নিন। এর গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এর মাধ্যমে সরাসরি ইউনিকোড দিয়েই লিখা যাবে আবার অপশন পরিবর্তন করে নন ইউনিকোড বা আস্কি দিয়েও লেখা যাবে এবং ইউনিকোড এর মাধ্যমে সরাসরি ইন্টানেটে লেখা যাবে যা আগে অভ্র ছাড়া সম্ভব হত না। এটি এক্সপি বা উইনডোজ সেভেন উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
কী বোর্ডটি ইন্সটল করার পর চালু করতে গেলে পাসওয়ার্ড চাইবে। পাসওয়ার্ডের ঘরে এই পাসওয়ার্ডটি RN28-T29S-K1XM-J6XY-LK24 কপি করে পেস্ট দিয়ে সেভ বা ওকে দিলেই কাজ শেষ। এখন উপভোগ করুন বিজয় বায়ান্ন ২০১১ সম্পূর্ণ ফ্রী।



                                                                                এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করুন




নতুন: বিজয় বায়ান্ন ২০১২

নতুন: বিজয় বায়ান্ন ২০১২


              বিজয় বায়ান্ন ২০১২-ফুল ভার্সন: ( উইনডোজএক্সপি বা সেভেন উভয়ের ক্ষেত্রে এবং ভিস্তার জন্য)

                                                                খানে ক্লিক করে ডাউনলোড করুন

বিজয় বায়ান্ন (পাসওয়ার্ড সহ ফুল ভার্সন) - ফ্রি ডাউনলোড

বিজয় বায়ান্ন (পাসওয়ার্ড সহ ফুল ভার্সন) - ফ্রি ডাউনলোড



কম্পিউটারে বাংলা লেখার কী বোর্ড বিজয় বায়ান্ন ২০১১ (পাসওয়ার্ড সহ ফুল ভার্সন) ডাউনলাড করে নিন। এর গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এর মাধ্যমে সরাসরি ইউনিকোড দিয়েই লিখা যাবে আবার অপশন পরিবর্তন করে নন ইউনিকোড বা আস্কি দিয়েও লেখা যাবে এবং ইউনিকোড এর মাধ্যমে সরাসরি ইন্টানেটে লেখা যাবে যা আগে অভ্র ছাড়া সম্ভব হত না। এটি এক্সপি বা উইনডোজ সেভেন উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
কী বোর্ডটি ইন্সটল করার পর চালু করতে গেলে পাসওয়ার্ড চাইবে। পাসওয়ার্ডের ঘরে এই পাসওয়ার্ডটি RN28-T29S-K1XM-J6XY-LK24 কপি করে পেস্ট দিয়ে সেভ বা ওকে দিলেই কাজ শেষ। এখন উপভোগ করুন বিজয় বায়ান্ন ২০১১ সম্পূর্ণ ফ্রী।



ডাউনলোড করুন

[ Download Now ]

বিপদে ধৈর্যধারণ : দশটি উপদেশ

বিপদে ধৈর্যধারণ : দশটি উপদেশ

                                                                    
বিপদে ধৈর্যধারণ : দশটি উপদেশ

                                                        বিপদে ধৈর্যধারণ : দশটি উপদেশ

কে আছে এমন, যে পিতা-মাতা, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব, প্রিয়জন কিংবা কোন নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুতে শোকাহত হয়নি, চক্ষুদ্বয় অশ্রু বিসর্জন করেনি; ভর দুপুরেও গোটা পৃথিবী ঝাপসা হয়ে আসেনি; সুদীর্ঘ, সুপ্রশস্ত পথ সরু ও সংকীর্ণ হয়ে যায়নি; ভরা যৌবন সত্ত্বেও সুস্থ দেহ নিশ্চল হয়ে পড়েনি; অনিচ্ছা সত্ত্বেও অপ্রতিরোধ্য ক্রন্দন ধ্বনি তুলতে তুলতে গলা শুকিয়ে আসেনি; অবিশ্বাস সত্ত্বেও মর্মন্তুদ কঠিন বাস্তবতা মেনে নিতে বাধ্য হয়নি; এই বুঝি চলে গেল, চির দিনের জন্য; আর কোন দিন ফিরে আসবে না; কোন দিন তার সাথে দেখা হবে না; শত আফসোস ঠিকরে পড়ে, কেন তাকে কষ্ট দিয়েছি; কেন তার বাসনা পূর্ণ করিনি; কেন তার সাথে রাগ করেছি; কেন তার থেকে প্রতিশোধ নিয়েছি। আরো কত ভয়াবহ স্মৃতির তাড়না তাড়িয়ে বেড়ায়, শোকাতুর করে, কাঁদায়। কত ভর্ৎসনা থেমে থেমে হৃদয়ে অস্বস্তির জন্ম দেয়, কম্পনের সূচনা করে অন্তরাত্মায়। পুনঃপুন একই অভিব্যক্তি আন্দোলিত হয়- মুখের ভাষা যা ব্যক্ত করতে অক্ষম। হাতের কলম যা লিখতে অপারগ।

সবরের (ধৈর্যের) বিবরণ

সবরের (ধৈর্যের) বিবরণ
সবরের (ধৈর্যের) বিবরণ



আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱصۡبِرُواْ وَصَابِرُواْ ﴾ [ال عمران: ٢٠٠]
অর্থাৎ “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং ধৈর্য ধারণে প্রতিযোগিতা কর।” (সূরা আলে ইমরান ২০০ আয়াত)
তিনি আরও বলেন,
﴿وَلَنَبۡلُوَنَّكُم بِشَيۡءٖ مِّنَ ٱلۡخَوۡفِ وَٱلۡجُوعِ وَنَقۡصٖ مِّنَ ٱلۡأَمۡوَٰلِ وَٱلۡأَنفُسِ وَٱلثَّمَرَٰتِۗ وَبَشِّرِ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٥٥﴾ [البقرة: ١٥٥]
অর্থাৎ “নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা এবং কিছু ধনপ্রাণ এবং ফলের (ফসলের) নোকসান দ্বারা পরীক্ষা করব; আর তুমি ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ দাও।” (সূরা বাকারাহ ১৫৫ আয়াত)
তিনি আরও বলেন,
﴿ إِنَّمَا يُوَفَّى ٱلصَّٰبِرُونَ أَجۡرَهُم بِغَيۡرِ حِسَابٖ﴾ [الزمر: ١٠]
অর্থাৎ “ধৈর্যশীলদেরকে তো অপরিমিত পুরস্কার দেওয়া হবে।” (সূরা যুমার ১০ আয়াত)
তিনি অন্যত্র বলেন,
﴿ وَلَمَن صَبَرَ وَغَفَرَ إِنَّ ذَٰلِكَ لَمِنۡ عَزۡمِ ٱلۡأُمُورِ ٤٣ ﴾ [الشورا: ٤٣]
অর্থাৎ “অবশ্যই যে ধৈর্য ধারণ করে এবং ক্ষমা করে, নিশ্চয় তা দৃঢ়-সংকল্পের কাজ।” (সূরা শুরা ৪৩ আয়াত)
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱسۡتَعِينُواْ بِٱلصَّبۡرِ وَٱلصَّلَوٰةِۚ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ ١٥٣ ﴾ [البقرة: ١٥٣]
অর্থাৎ “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন।” (সূরা বাকারাহ ১৫৩ আয়াত)


Friday, July 31, 2015

সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়

সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়

সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়


ভূমিকা

সকল প্রশংসার মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, আমরা তার প্রশংসা করি, তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি, তার নিকট ইস্তেগফার করি এবং তার নিকট তওবা করি। আমরা আমাদের নফসের কু-প্রবৃত্তি ও আমাদের আমলের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই। তিনি যাকে হিদায়েত করেন তার কোন গোমরাহকারী নেই, তিনি যাকে গোমরাহ করেন তার কোন হিদায়েতকারী নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি এক তার কোন শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ দরূদ ও সালাম প্রেরণ করুন তার উপর, তার পরিবারের উপর, তার সাথীদের উপর এবং কিয়ামত পর্যন্ত সঠিকভাবে যারা তাদের অনুসরণ করবে তাদের সকলের উপর।

কুরআনের আলোকে যাকাতের বিধান

জাকাত
 কুরআনের আলোকে যাকাতের বিধান



                                                                জাকাত

                                             কুরআনের আলোকে যাকাতের বিধান

প্রিয় ভইয়েরা! কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন :
]وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ[ (البينة:৫)
'তাদের এ মর্মে আদেশ করা হয়েছে যে, তারা নিবিষ্ট মনে একান্তভাবে শুধুমাত্র আল্লাহর এবাদত করবে, যথাযথভাবে সালাত আদায় করবে, জাকাত প্রদান করবে, আর এটাই হলো সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন।'[১]

ফতোওয়া যাকাত: যাকাত বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৭টি প্রশ্নোত্তর

ফতোওয়া যাকাত: যাকাত বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৭টি প্রশ্নোত্তর

 ফতোওয়া যাকাত: যাকাত বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৭টি প্রশ্নোত্তর

                                ফতোওয়া যাকাত: যাকাত বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৭টি প্রশ্নোত্তর
(ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম থেকে)
মূল: আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালিহ আল উছাইমীন (রাহ:)
অনুবাদক: শাইখ মুহা: আব্দুল্লাহ আল কাফী

প্রশ্ন: (৩৫৪) যাকাত ফরয হওয়ার শর্তাবলী কি কি?
উত্তর: যাকাত ফরয হওয়ার শর্তাবলী নিম্নরূপ:
ক) ইসলাম
খ) স্বাধীন
গ) নেসাবের মালিক হওয়া ও তা স্থিতিশীল থাকা।
ঘ) বছর পূর্ণ হওয়া।

জাকাতের গুরুত্ব, ফজিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ

জাকাতের গুরুত্ব, ফজিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ


      জাকাতের গুরুত্ব, ফযিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ

                                        জাকাতের গুরুত্ব, ফযিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ

জাকাত এর সংজ্ঞা:
জাকাত শব্দের অর্থ শুচিতা ও পবিত্রতা, শুদ্ধি ও বৃদ্ধি।
পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শরিয়ত নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ কুরআনে বর্ণিত আট প্রকারের কোন এক প্রকার লোক অথবা প্রত্যেককে দান করে মালিক বানিয়ে দেয়াকে জাকাত বলে।

জাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

জাকাত ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে একটি। জাকাত ছাড়া দ্বীন পরিপূর্ণতা লাভ করে না। যারা জাকাত অস্বীকার করে তাদের হত্যা করা হবে। এবং যারা জাকাতের ফরয অস্বীকার করে তাদের কাফের বলে গণ্য করা হবে। এই জাকাত ফরয করা হয় ২য় হিজরীতে। আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে কারিমের বহু জায়গায় ইরশাদ করেছেন,
‏(‏وأقيموا الصلاة وآتوا الزكاة واركعوا مع الراكعين‏ ‏‏)البقرة:‏ ৪৩)‏

সদকাতুল ফিতর

সদকাতুল ফিতর

                                                                    
  সদকাতুল ফিতর


                                                         সদকাতুল ফিতর

সম্মানিত ভাইয়েরা আমার! আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের শেষে একটি বিধান দিয়েছেন। অর্থাৎ ঈদের সালাত আদায়ের পূর্বে ‘সদকাতুল ফিতর’ আদায় করা। আজকের মজলিসে এ বিষয়ে কথা বলব। এর বিধান, উপকারীতা, শ্রেণী, পরিমাণ, অপরিহার্যতা, আদায় করার সময় ও স্থান সম্পর্কে আলোচনা করব।

সদকাতুল ফিতরের বিধান

সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা মুসলিমদের উপর আবশ্যক করেছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা আদেশ করেছেন তা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক আদেশ করার সমতুল্য।
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন :
﴿مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدۡ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ عَلَيۡهِمۡ حَفِيظٗا ٨٠﴾ [النساء: ٨٠]

যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা

যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা


                         
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা

টাকা-পয়সা নয়; খাদ্য দ্রব্য ফিতরা দেয়া সুন্নাত।
ধান নয়; চাল দিয়ে ফিতরা দেয়া কর্তব্য।

ফিতরা
(একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ)

এ প্রবন্ধে যে সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে:
১) ভূমিকা
২) ফিতরা কাকে বলে?
৩) ফিতরার হুকুম (বিধান)।
৪) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে কি দ্বারা এবং কি পরিমাণ ফিতরা দেওয়া হত?
৫) ধানের না চালের ফিতরা?
৬) ধান দ্বারা ফিতরা আদায় না হওয়ার ব্যাপারে উপমহাদেশের কয়েকজন বরেণ্য উলামায়ে কেরামের ফতোয়া।
৭) যারা ধান দ্বারা ফিতরা দেয়া জায়েয মনে করেন।
৮) খাদ্য দ্রব্য দ্বারা ফিতরা না দিয়ে টাকা-পয়সা দ্বারা ফিতরা দেওয়া
৯) অর্ধ সা’ র ফিতরা
১০) সা সম্পর্কে দুটি কথা

ফিতরা প্রদানের সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি

ফিতরা প্রদানের সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি

                                                                           
      ফিতরা প্রদানরে সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি

                                                 ফিতরা প্রদানরে সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি

আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মা বাদঃ
ঈদের নামাযের পূর্বে ফিতরা প্রদান করা যেমন ইসলামের একটি সুন্দর বিধান, তেমন তা সঠিক সময়ে ও সঠিক নিয়মে বণ্টন করাও গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কিন্তু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফিতরা বণ্টনের নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে একটি বহুল প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে: লোকেরা তাদের ফিতরা মসজিদের ইমাম কিংবা গ্রামের সর্দারের কাছে ঈদের নামাযের পূর্বে আর অনেকে নামাযের পরে জমা করে দেয়। ফিতরা দাতারা ধান, গম, চাল এবং অনেকে টাকা দ্বারা ফিতরা দিয়ে থাকেন। অতঃপর ইমাম কিংবা সর্দার সাহেব কিছু দিন পর সেই জমা কৃত ফিতরা বিক্রয় করে দেন। তার পর তিনি সেই মূল্য অর্থাৎ টাকা-পয়সা বিতরণ শুরু করেন। ফিতরা যারা নিতে আসেন তাদের মধ্যে ফকীর-মিসকিন, মাদরাসার ছাত্র এবং ইসলামী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলিও থাকে। এরা অনেকে কাছাকাছি অঞ্চলের হয় আর অনেকে দূরেরও হয়। সাধারণত: এই পদ্ধতিতেই বেশির ভাগ স্থানে ফিতরা বণ্টন করা হয়ে থাক। কোথাও একটু ব্যতিক্রম থাকলে সেটা অবশ্য আলাদা কথা।

প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান


প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান

প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান


প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান

সংকলন ও গ্রন্থনা : মুহা: আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী (লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)

(১ম পর্ব)
বিষয়: ঈমান ও আক্বীদা

১. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তার নাম কি?
উত্তরঃ আল্লাহ্‌।
২. প্রশ্নঃ আল্লাহর কতগুলো নাম রয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’আলার নাম অসংখ্য-অগণিত।
৩. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌ কোথায় আছেন?
উত্তরঃ সপ্তাকাশের উপর আরশে আযীমে। (সূরা ত্বহাঃ ৫)

দানশীলতা

দানশীলতা

                                                            
দানশীলতা


মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ۚوَمَآ أَنفَقۡتُم مِّن شَيۡءٖ فَهُوَ يُخۡلِفُهُۥۖ﴾ [سبا: ٣٩]
অর্থাৎ “তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার বিনিময় দেবেন।” (সূরা সাবা’ ৩৯ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ وَمَا تُنفِقُواْ مِنۡ خَيۡرٖ فَلِأَنفُسِكُمۡۚ وَمَا تُنفِقُونَ إِلَّا ٱبۡتِغَآءَ وَجۡهِ ٱللَّهِۚ وَمَا تُنفِقُواْ مِنۡ خَيۡرٖ يُوَفَّ إِلَيۡكُمۡ وَأَنتُمۡ لَا تُظۡلَمُونَ﴾ [البقرة: ٢٧٢]
অর্থাৎ “তোমরা যা কিছু ধন-সম্পদ দান কর, তা নিজেদের উপকারের জন্যই। আল্লাহর সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে তোমরা দান করো না। আর তোমরা যা দান কর, তার পুরস্কার পূর্ণভাবে প্রদান করা হবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।” (সূরা বাক্বারাহ ২৭২ আয়াত)

মহানবীর সর্বশেষ ওসিয়ত: আস-সালাত, আস-সালাত

মহানবীর সর্বশেষ ওসিয়ত: আস-সালাত, আস-সালাত

                                                         
মহানবীর সর্বশেষ ওসিয়ত: আস-সালাত, আস-সালাত


                                     মহানবীর সর্বশেষ ওসিয়ত: আস-সালাত, আস-সালাত

ভূমিকা
حمدالله وصلاة وسلاماعلى سيدنا محمد بن عبد الله.................
হামদ ও সালাতের পর।
ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের মধ্যে কালেমার পরই সালাতের স্থান। কালেমার পর এটি সর্বোত্তম আমল। ইসলামের স্তম্ভসমূহের মধ্যে সবচেয়ে মজবুত স্তম্ভ এটি। সুতরাং সালাত ব্যতীত মুসলমানের ইসলাম পরিপূর্ণ হয় না। কেননা সালাত স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে সেতুবন্ধন। এটি শারীরিক ইবাদাতের মূল। সালাতই সকল উম্মাতের দীন। আসমানী শরীয়াতের কোনটিই সালাতমুক্ত ছিল না। কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমার মাধ্যমে এটি ফরজে আঈন। আল্লাহ তা'আলা মিরাজ রজনীতে আসমানে সালাত ফরজ করেছেন। অন্যান্য ইবাদাত এমনটি নয়। অতএব সালাতের মর্যাদা সহজেই অনুমেয়। এটি সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের উপর ফরজ। কোন অবস্থায়ই এটি ছাড়া যাবে না। অন্যান্য রোকনগুলোর ব্যাপারে অবশ্য কিছুটা সহজ করা হয়েছে।[১]

ফতোওয়া সালাত: নামায সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৭০টি প্রশ্নোত্তর

ফতোওয়া সালাত: নামায সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৭০টি প্রশ্নোত্তর

                                                             
ফতোওয়া সালাত: নামায সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৭০টি প্রশ্নোত্তর


প্রশ্নঃ (১৮৪) ইসলামে ছালাতের বিধান কি? কার উপর ছালাত ফরয?
উত্তরঃ ছালাত ইসলামের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রুকন; বরং এটা কালেমায়ে শাহাদাতের পর দ্বিতীয় রুকন। এটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটা ইসলামের মূল খুঁটি। যেমনটি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
وَعَمُودُهُ الصَّلَاةُ
“ইসলামের মূল খুঁটি হচ্ছে, ছালাত।”

ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ১ম পর্ব

ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ১ম পর্ব

                                                                    
ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ১ম পর্ব

                                                     ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ১ম পর্ব
সংকলন: ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব


بسم الله الرحمن الرحيم
إِنَّ الْحَمْدَ ِللهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ مَنْ يَهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلاَ هَادِىَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ، أَمَّا بَعْدُ:*

আল্লাহ বলেন,
وَأَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِىْ
‘আর তুমি ছালাত কায়েম কর আমাকে স্মরণ করার জন্য’ (ত্বোয়া-হা ২০/১৪)।
ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)

অনুধাবন করুন

ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ২য় পর্ব

ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ২য় পর্ব

                                                             
   ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ২য় পর্ব


                                              ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ২য় পর্ব
সংকলন: ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব


বিভিন্ন ছালাতের পরিচয়

১. বিতর ছালাত (صلاة الوتر)

বিতর ছালাত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ।[1] যা এশার ফরয ছালাতের পর হ’তে ফজর পর্যন্ত সুন্নাত ও নফল ছালাত সমূহের শেষে আদায় করতে হয়।[2] বিতর ছালাত খুবই ফযীলতপূর্ণ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বাড়ীতে বা সফরে কোন অবস্থায় বিতর ও ফজরের দু’রাক‘আত সুন্নাত পরিত্যাগ করতেন না।[3]

তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা

তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা

ফাত্‌ওয়া নং : 9036

                                                  


                                                       তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা

প্রশ্ন : আমি প্রশ্নটি আগেও করেছিলাম। আশা করি এর উত্তর দিয়ে আমাকে উপকৃত করবেন কারণ আমি এর কোনো সন্তোষজনক জবাব পাই নি। প্রশ্নটি হলো তারাবীহ সম্পর্কে, তা কি ১১ রাক্‌‘আত নাকি ২০ রাক্‌‘আত? সুন্নাহ মতে তো তা ১১ রাক্‌‘আত । শাইখ আল-আলবানী –রহিমাহুল্লাহ –“আল-ক্বিয়াম ওয়া আত-তারাউয়ীহ”-বইতে বলেছেন (তা) ১১ রাক্‌‘আত । কেউ কেউ সেই মাসজিদে যায় যেখানে ১১ রাক্‌‘আত সালাত আদায় হয়, আবার অনেকে সেই মাসজিদে যায় যেখানে ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায় হয়। তাই এই মাসআলাটি এখানে যুক্তরাষ্ট্রে সংবেদনশীল হয়ে গেছে। যে ১১ রাক্‌‘আত সালাত আদায় করে সে ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায়কারীকে দোষারোপ করে; আবার এর বিপরীতটিও হয়। তাই (এই ব্যাপারটি নিয়ে) ফিতনাহ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি আল-মাসজিদ আল-হারামেও ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায় করা হয়।
কেন আল-মাসজিদ আল-হারাম ও আল-মাসজিদ আন-নাবাউয়ীতে সুন্নাহ থেকে বিপরীত করা হয়? কেন তারা আল-মাসজিদ আল-হারাম ও আল-মাসজিদ আন-নাবাউয়ী-তে ২০ রাক্‌‘আত তারাউয়ীহ-এর সালাত আদায় করেন?

রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান

রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান

                                                           
   রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান


                                                      রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি নিজ দয়ায় সামনে অগ্রসরমান পাগুলোকে সাহায্য করেন, আপন করুণায় ধ্বংসপ্রায় জীবনগুলোকে উদ্ধার করেন এবং যাকে তিনি ইচ্ছা করেন তাকে সহজতর পথ জান্নাতের রাস্তাকে সহজ করে দেন, ফলে তাকে আখিরাতের প্রতি আগ্রহী করে তোলেন। আমি তাঁর স্তুতি গাই তাবৎ সুস্বাদ ও বিস্বাদ বিষয়ের জন্য।
আমি সাক্ষ্য প্রদান করি যে একমাত্র তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই; তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তিনি সম্মান ও প্রতিপত্তির অধিকারী; প্রতিটি অন্তরই (তাঁর সামনে) লাঞ্ছিত ও দুর্দশাগ্রস্ত। আর আমি আরও সাক্ষ্য দেই যে মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল, তিনি প্রকাশ্যে ও গোপনে আপন রবের নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছেন।

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত


তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত

                                                তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهِۦ نَافِلَةٗ لَّكَ عَسَىٰٓ أَن يَبۡعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامٗا مَّحۡمُودٗا ٧٩ ﴾ (الاسراء: ٧٩)
অর্থাৎ রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম কর; এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বানী ইসরাইল ৭৯ আয়াত)
তিনি আরও বলেছেন,
﴿ تَتَجَافَىٰ جُنُوبُهُمۡ عَنِ ٱلۡمَضَاجِعِ يَدۡعُونَ رَبَّهُمۡ خَوۡفٗا وَطَمَعٗا وَمِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُونَ ١٦ ﴾ (السجدة: ١٦)
অর্থাৎ তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশংকার সাথে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী প্রদান করেছি, তা হতে তারা দান করে। (সূরা সেজদা ১৬ আয়াত)

কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান

কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান

কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান

কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান

ভূমিকা
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর প্রশংসা ও নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দুরূদ পাঠের পর আজকের আলোচনা শুরু করছি।
ইবাদতের ব্যাপারে একটি মৌলিক নীতি হচ্ছে, প্রতিটি ইবাদতের জন্য শরী‘আতপ্রবর্তক আল্লাহ তা‘আলা একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন যা সে সময়েই আদায় করতে হয়, যদি না সেটাকে তার সময় থেকে বিশেষ আবশ্যকতা বা প্রয়োজনের কারণে বের করে অন্য সময়ে করার ব্যাপারে দলীল-প্রমাণাদি পাওয়া যায়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ ٱلَّذِينَ هُمۡ عَن صَلَاتِهِمۡ سَاهُونَ ٥ ﴾ [الماعون: ٥]
“যারা তাদের সালাত সম্পর্কে বেখবর” [সূরা আল-মা‘উন, ৫]

জুম‘আর নামায

জুম‘আর নামায


                                                        
জুম‘আর নামায

                                                জুম‘আর নামায

জুমআর নামায প্রত্যেক সাবালক জ্ঞান-সম্পন্ন পুরুষের জন্য জামাআত সহকারে ফরয।
মহান আল্লাহ বলেন,
(يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ، ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ)
অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! যখন জুমআর দিন নামাযের জন্য আহবান করা হবে, তখন তোমরা সত্বর আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বর্জন কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। (কুরআন মাজীদ ৬২/৯)

বিত্‌র নামায

বিত্‌র নামায

বিত্‌র নামায


বিত্‌র নামায

বিত্‌র নামায সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। এ নামায আদায় করতে মহানবী (সাঃ) উম্মতকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করতেন। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, ‘বিত্‌র ফরয নামাযের মত অবশ্যপালনীয় নয়; তবে আল্লাহর রসূল (সাঃ) তাকে সুন্নতের রুপদান করেছেন; তিনি বলেছেন, “অবশ্যই আল্লাহ বিত্‌র (জোড়হীন), তিনি বিত্‌র (জোড়শূন্যতা বা বেজোড়) পছন্দ করেন। সুতরাং তোমরা বিত্‌র (বিজোড়) নামায পড়, হে আহলে কুরআন!” (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ, সহিহ তারগিব ৫৮৮নং)

চেয়ারে বসে সালাত আদায়: বিধি-বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল

চেয়ারে বসে সালাত আদায়: বিধি-বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল

                                                    
 চেয়ারে বসে সালাত আদায়: বিধি-বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল

চেয়ারে বসে সালাত আদায়: বিধি-বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহূ
বসে সালাত করতে গিয়ে অনেকেই ভুল করে থাকে। কারণ অনেকেই এর বিবিধ অবস্থা ও চেয়ারে বসে সালাত আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নয়। তাই নিম্নে তার কিছু বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে।

যে ব্যক্তি কোন খতীবকে বিভ্রান্তির দিকে অথবা বিদআতের দিকে আহ্বান করতে শুনে সে কি করবে

যে ব্যক্তি কোন খতীবকে বিভ্রান্তির দিকে অথবা বিদআতের দিকে আহ্বান করতে শুনে সে কি করবে

যে ব্যক্তি কোন খতীবকে বিভ্রান্তির দিকে অথবা বিদআতের দিকে আহ্বান করতে শুনে সে কি করবে



যে ব্যক্তি কোন খতীবকে বিভ্রান্তির দিকে অথবা বিদআতের দিকে আহ্বান করতে শুনে সে কি করবে

প্রশ্ন: আমাদের স্থানীয় ইমাম মানুষকে কতিপয় বিদআতের দিকে আহ্বান করেন। কিছু দ্বীনদার ভাই দলিল-প্রমাণসহ এ ব্যাপারে তাঁকে সাবধান করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি এ বিদআতগুলোর পক্ষে অটল অবস্থানে রয়েছেন। যদি জানা যায় যে, আজকের খোতবায় খতীবসাহেব বিদআতের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করবেন যেমন- মিলাদ, শবে বরাত, ইত্যাদি সেক্ষেত্রে আপনারা কি এ পরামর্শ দিবেন যে, সে ব্যক্তি জুমার খোতবা শুনতে যাবে না। কেউ যদি মসজিদে গিয়ে শুনতে পায় যে, খতীবসাহেব বিদআতের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছেন তখন সে ব্যক্তির করণীয় কী? সে কী খোতবার মাঝখানে উঠে বাড়ীতে এসে যোহরের নামায আদায় করবে? অন্যথায় সে কী করবে? এ ধরণের খোতবা শুনায় হাজির থাকলে ব্যক্তি কি গুনাহগার হবে? কারণ কিছু ভাই নসিহত করার পরও খতীবসাহেব তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির উপর অটল অবস্থানে রয়েছেন। কেউ যদি খোতবার মধ্যে দুর্বল ও বানোয়াট হাদিস উল্লেখ করে তার ক্ষেত্রেও কি একই হুকুম প্রযোজ্য? আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।

ইমাম ও ইমামতি

ইমাম ও ইমামতি 

                                                                  
    ইমাম ও ইমামতি
                                       

                                                                 ইমাম ও ইমামতি

আল্ হাল হামদুলিল্লাহ, ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ্, আম্মা বাদ:
ইমাম ও ইমামতি ইসলাম ধর্মের এবং মুসলিম সমাজের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুল প্রয়োজনীয় বিষয়। একটি দেশ থেকে নিয়ে একটি গ্রাম পর্যন্ত এমনকি একটি পরিবারেও এই পদের প্রয়োজনীয়তা লক্ষণীয়। তাই এই বিষয়টির সম্পর্কে আমাদের সমাজের প্রত্যেক ইমামকে বিশেষ ভাবে এবং অন্যান্য মুসলিমদের সাধারণ ভাবে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। উক্ত কারণে বিষয়টির অবতারণা। আল্লাহ যেন সঠিক লেখার এবং তার প্রতি আমল করার তাওফিক দান করুন । আমিন

জুমু‘আর দিনের বিধান

জুমু‘আর দিনের বিধান

জুমু‘আর দিনের বিধান


জুমু‘আর দিনের বিধান

ভূমিকা

জুমু‘আর দিন একটি বরকত পূর্ণ দিন। আল্লাহ তা‘আলা এ দিনটিকে সমস্ত দিনের উপর ফযিলত দিয়েছেন এবং উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এ দিনটিকে নেয়ামত স্বরূপ নির্বাচন করেছেন। ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের এ দিবসটি থেকে আল্লাহ তা‘আলা দূরে সরিয়ে রেখেছেন। ফলে তারা এ দিবসটি সম্পর্কে ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। শনিবার ও রবিবারের তুলনায় জুমু’আর দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ দিনে আল্লাহ তা‘আলা অসংখ্য ঘটনা রাজির জন্ম দিয়েছেন এবং পৃথিবীতে অনেক কিছুই এ দিবসটিতে সংঘটিত হয়েছে। অত:পর আল্লাহ তা‘আলা আমাদের-উম্মতে মুহাম্মদী-কে পাঠান এবং আমাদেরকে জুমু’আর দিনের প্রতি পথ দেখান।
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু ও হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু উভয় সাহাবী হতে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«أضل الله عز وجل عن الجمعة من كان قبلنا؛ فكان لليهود يوم السبت، وكان للنصارى يوم الأحد، فجاء الله عز وجل بنا فهدانا ليوم الجمعة، فجعل الجمعة والسبت والأحد، وكذلك هُم لنا تبع يوم القيامة، ونحن الآخِرون من أهل الدنيا، والأولون يوم القيامة، المقضي لهم قبل الخلائق» [رواه مسلم، والنسائي، ابن ماجة].
“আল্লাহ তা‘আলা আমাদের পূর্ববর্তীদেরকে জুমু‘আ থেকে বঞ্চিত করেন। ইয়াহুদীদের জন্য শনিবার এবং খৃষ্টানদের জন্য রবিবারকে নির্ধারণ করেন। অত:পর আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে পাঠান এবং আমাদেরকে জুমু‘আর দিবসটির প্রতি পথ দেখান। জুমু‘আর পর শনিবার এবং তারপর রবিবার নির্ধারণ করেন। যেভাবে দিবসের দিক দিয়ে তারা আমাদের পিছনে আছে, কিয়ামতের দিনও তারা আমাদের পিছনে থাকবে। দুনিয়াতে আমাদের আগমন পরে হলেও কিয়ামতের দিন আমরাই প্রথম হব। সমস্ত মাখলুকের পূর্বে আমাদের ফায়সালা করা হবে”।[1]

ফরয নামাযের সালাম শেষে প্রথমে ১ বার আল্লাহু আকবার, না ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ?

ফরয নামাযের সালাম শেষে প্রথমে ১ বার আল্লাহু আকবার, না ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ?


                 
ফরয নামাযের সালাম শেষে প্রথমে ১ বার আল্লাহু আকবার, না ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ?
ফরয নামাযের সালাম শেষে প্রথমে ১ বার আল্লাহু আকবার, না ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ?

১-বিষয়টি অবতারণার কারণঃ
আমরা জানি, আমাদের সমাজে নামায শিক্ষার সময় সাধারণতঃ এই শিক্ষা নেওয়া হয় বা দেওয়া হয় যে, ফরয স্বালাতে সালাম ফিরানোর পর প্রথমে এক বার সশব্দে আল্লাহু আকবার বলতে হবে অতঃপর নিরবে তিন বার আস্তাগফিরুল্লাহ এবং আমাদের আহলুল হাদীস সমাজের বিভিন্ন মসজিদে মুস্বল্লীগণকে জোর শব্দে এই আমলটি করতেও দেখা যায়। এছাড়া সালাফী আলেমগণের প্রচলিত প্রসিদ্ধ বাংলা স্বালাত শিক্ষার বই-পুস্তকেও এই মাসআলা দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্য হলাম, যখন সউদী আরবের সমাজে মুস্বল্লীদের নামাযান্তে ১বার উচ্চ কন্ঠে আল্লাহু আকবার বলতে শুনলাম না; অথচ এখানে সালাম শেষে উচ্চ স্বরে কিছুক্ষণ যিকর ও দুআ পড়ার প্রচলন রয়েছে। আর না এখানকার বিজ্ঞ উলামাদের বই-পুস্তকে এবং ফতোয়ায় এই বিধানটি লক্ষ্য করলাম। আরো আশ্চর্য হলাম যখন প্রসিদ্ধ চার মাযহাবের ফিকহের বই পুস্তকেও সালাম শেষে এক বার জোর শব্দে আল্লাহু আকবার বলতে হবে বলে কোনো বিধান অবলোকন করলাম না; বরং তারা সকলে প্রথমে ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ বলার কথা উল্লেখ করেছেন, যা লেখার শেষ পয়েন্টে দেখা যেতে পারে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে বহু পূর্বে মনে কৌতুহল জেগেছিল। সাম্প্রতি সাধ্যানুযায়ী এ সম্বন্ধে দলীল-প্রমাণগুলির সাধারণ অধ্যয়ন করার চেষ্টা করলাম। অবশেষে যা অবগত হলাম, তা আপনাদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরা ভাল মনে করছি। ওয়াল্লাহু হুআল্ মুআফ্ফিক্ ওয়াল্ মুস্তাআন। বক্ষ্যমাণ লেখাটির মূল বিষয় হল, সালাম ফিরানোর পর সর্ব প্রথম কি বলতে হবে এবং কত বার বলতে হবে?

নামায নষ্ট করলে সিয়াম কবুল হয় না

নামায নষ্ট করলে সিয়াম কবুল হয় না

                                                                                
  নামায নষ্ট করলে সিয়াম কবুল হয় না


                                                                   নামায নষ্ট করলে সিয়াম কবুল হয় না

প্রশ্ন: নামায না পড়ে সিয়াম পালন করা কি জায়েয?

উত্তর:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

বে-নামাযীর যাকাত, রোজা, হজ্জ ইত্যাদি কোনো আমলই কবুল হয় না।

ইমাম বুখারী (৫২০) বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
( مَنْ تَرَكَ صَلاةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ )
“যে ব্যক্তি আসরের নামায ত্যাগ করে তার আমল নিষ্ফল হয়ে যায়।”

Thursday, July 30, 2015

স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর

স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর

                                                                      
স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর
  
                                                           স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর

নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি; আর আমাদের নফসের জন্য ক্ষতিকর এমন সকল খারাপি এবং আমাদের সকল প্রকার মন্দ আমল থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।

স্বামী-স্ত্রী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

হাদীসের আলোকে আদর্শ স্বামী

                                                                           
হাদীসের আলোকে আদর্শ স্বামী

                                                           হাদীসের আলোকে আদর্শ স্বামী

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَمِنۡ ءَايَٰتِهِۦٓ أَنۡ خَلَقَ لَكُم مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ أَزۡوَٰجٗا لِّتَسۡكُنُوٓاْ إِلَيۡهَا وَجَعَلَ بَيۡنَكُم مَّوَدَّةٗ وَرَحۡمَةًۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّقَوۡمٖ يَتَفَكَّرُونَ ٢١ ﴾ [الروم: ٢١]
“আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে”। [সূরা : আর্-রূম: ২১]

Wednesday, July 29, 2015

হজ্জ ও উমরাহ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল

                                               
যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল

                                             যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল
আল্লাহ তা‘আলা দয়ালু। তাই তিনি আপন বান্দাদের তওবার সুযোগ দিতে ভালোবাসেন। তিনি চান বান্দারা ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ করুক। এ উদ্দেশ্যে তিনি আমাদের জন্য বছরে কিছু বরকতময় ও কল্যাণবাহী দিন রেখেছেন- যাতে আমলের সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়। আমরা পরীক্ষার দিনগুলোতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাই সবচে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য। তবে কেন আখেরাতের জন্য এসব পরীক্ষার দিনগুলোতেও সর্বাধিক প্রচেষ্টা ব্যয় করব না? এ দিনগুলোতে আমল করা তো বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি নেকী ও কল্যাণ বয়ে আনে। এমন দিনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যিলহজ মাসের এই প্রথম দশদিন। এ দিনগুলো এমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেগুলোকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাতে আমলের প্রতি তিনি সবিশেষ উদ্বুদ্ধ করেছেন। এ দিনগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে শুধু এতটুকুই যথেষ্ট যে আল্লাহ তা‘আলা এর কসম করেছেন

বৃস্তারিত পড়ুন

হাদীস শিক্ষা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷

                                    সহিহ হাদিসে কুদসি (১ম পর্ব)

                                                              
 সহিহ হাদিসে কুদসি (১ম পর্ব)

                                               (সহিহ হাদিসে কুদসি (১ম পর্ব

সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য এবং দরূদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল, তার পরিবারবর্গ, তার সাথী ও তার সকল অনুসারীদের ওপর। অতঃপর,
“সহিহ হাদিসে কুদসি” গ্রন্থটি আমার নিকট বিশুদ্ধ প্রমাণিত হাদিসে কুদসির বিশেষ সংকলন। এখানে আমি সনদ ও ব্যাখ্যা ছাড়া হাদিসে কুদসিগুলো উপস্থাপন করেছি। হাদিসগুলো সূত্রসহ উল্লেখ করে হুকুম ও শব্দের জরুরী অর্থ বর্ণনা করে ক্ষান্ত হয়েছি। আল্লাহ আমার এ আমল কবুল করুন এবং এর দ্বারা সকল মুসলিমকে উপকৃত করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব হাদিস আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করে বর্ণনা করেছেন আলেমগণ সেগুলোকে “হাদিসে কুদসি” নামে অভিহিত করেছেন। আল্লাহর নাম “কুদ্দুস” এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করে এসব হাদিসকে ‘কুদসি’ বলা হয়। (“কুদ্দুস” অর্থ পবিত্র ও পুণ্যবান।)

কুরআন তিলাওয়াত : ফযীলত ও আদব

                                                 কুরআন তিলাওয়াত : ফযীলত ও আদব

                                                                   
কুরআন তিলাওয়াত : ফযীলত ও আদব


                                                           কুরআন তিলাওয়াত : ফযীলত ও আদব

                                                           কুরআন তিলাওয়াতের ফযীলত

আজ আমরা এমন বিষয়ে আলোচনা করব যা আমাদের কল্যাণের গ্যারান্টি দেয়। যা আমাদেরকে রক্ষা করে যাবতীয় ফিতনা থেকে। এতে আছে অতীত-ভবিষ্যতের সংবাদ আর বর্তমানের জীবন-দিশা। এ কোনো হেলাখেলার বিষয় নয়; চূড়ান্ত ও অলঙ্ঘনীয় বিধান। ঔদ্ধত্য দেখিয়ে যে একে পরিহার করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ধ্বংস করে দেবেন। যে এ ছাড়া অন্য কোথাও জীবনের পাথেয় খুঁজবে আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করবেন। এটি আল্লাহর সুদৃঢ় রজ্জু। আল্লাহ তা‘আলার প্রজ্ঞাময় আলোচনা। এটি সরল পথ। এটি থাকলে প্রবৃত্তি মানুষকে সুপথহারা করতে পারে না। এর শব্দোচ্চারণে কারও কষ্ট অনুভূত হয় না। আলিমরা কখনো এর তিলাওয়াত থেকে পরিতুষ্ট হন না। এটি পুরাতন হলেও বাতিল হয় না। এর বিস্ময় ও অলৌকিত্ব কখনো ফুরায় না। যে এ থেকে বলে সে সত্যবাদী। যে এর নির্দেশনা মতো চলে সে প্রতিদান প্রাপ্ত হয়। যে একে দিয়ে বিচার করে সে ইনসাফ করে। যে এর দিকে আহ্বান জানায় সে সুপথের দিকেই ডাকে।
হ্যা, আমি বলছি পবিত্র কুরআনের কথা। আল্লাহ তা‘আলার মহা প্রজ্ঞাময় বাণীর কথা। আমাদের কর্তব্য এ কুরআন শিক্ষা করা। নিয়মিত এর তিলাওয়াত করা। এ কুরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা। আমাদের দায়িত্ব নিজ সন্তানদের কুরআন শিক্ষা দেয়া এবং তাদেরকে এর তিলাওয়াত ও ভালোবাসায় অভ্যস্ত হিসেবে গড়ে তোলা। যাতে এর সাথে তাদের হৃদ্যিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং এর সঙ্গে তাদের মনোসংযোগ ঘটে। এতে করে তাদের চরিত্র হবে পবিত্র ও অপঙ্কিল। তাদের আত্মা ও হৃদয় হবে পরিশুদ্ধ। তারা হবে কুরআনের ধারক ও বাহক। কারণ, একটি শিশু যখন কুরআনের শিক্ষার মধ্য দিয়ে বড় হয়, সে জানতে পারে নামাজে কী পড়ছে। আর শিশুকালে কুরআনের হাফেয হওয়া বড় হয়ে হাফেয হওয়ার চেয়ে উত্তম। এতে করে তার স্মরণও থাকে ভালো। সে কখনো এ কুরআন ভুলে না। কারণ, শৈশবে কুরআন শিক্ষা করলে তা তার হৃদয়ে শিলালিপির মতো অঙ্কিত হয়ে যায়।
আমাদের উচিত, আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করা এবং কুরআনের প্রতি গুরুত্ব দেয়া। আল্লাহ তা‘আলা কালামে মাজিদে ইরশাদ করেন,
إِنَّ الَّذِينَ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَنْفَقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً يَرْجُونَ تِجَارَةً لَنْ تَبُورَ (29) لِيُوَفِّيَهُمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدَهُمْ مِنْ فَضْلِهِ إِنَّهُ غَفُورٌ شَكُورٌ (30)
‘নিশ্চয় যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়ন করে, সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিযক দিয়েছেন তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে যা কখনো ধ্বংস হবে না। যাতে তিনি তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দান করেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে আরো বাড়িয়ে দেন। নিশ্চয় তিনি অতি মাশীল, মহাগুণগ্রাহী।’[1]

আমরা কিভাবে কুরআন বুঝব?

                            আমরা কিভাবে কুরআন  বুঝব?            


   আমরা কিভাবে কুরআন বুঝব?
                          আমরা কিভাবে কুরআন বুঝব
?

                                                                                    
ভূমিকা :
আল-কুরআনুল কারীম মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত সর্বশ্রেষ্ঠ ও চিরন্তন মু‘জিযা, বিশ্ব মানবতার মুক্তিসনদ। এতে রয়েছে মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট হিদায়াত ও দিক-নির্দেশনা, রয়েছে আলোকবর্তিকা, উপদেশ, রহমত ও অন্তরের যাবতীয় ব্যাধির উপশম। আল্লাহ সুবহানাহু বলেন,
﴿يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدىً وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ (57) قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ﴾
‘‘হে মানুষ! তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে এসেছে উপদেশ এবং অন্তরসমূহে যা থাকে তার শিফা, আর মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমাত। বল, ‘আল্লাহর অনুগ্রহে ও রহমাতে’। সুতরাং এ নিয়েই যেন তারা খুশী হয়। এটি যা তারা জমা করে তার চেয়ে উত্তম।’’[1]

কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত

                             কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত

                                                   
 কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত

                                                            কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত

আল্লাহ তাআলা বলেন :
إِنَّ الَّذِينَ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَأَقَامُوا الصَّلاةَ وَأَنْفَقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرّاً وَعَلانِيَةً يَرْجُونَ تِجَارَةً لَنْ تَبُورَ، لِيُوَفِّيَهُمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدَهُمْ مِنْ فَضْلِهِ إِنَّهُ غَفُورٌ شَكُورٌ (فاطر:২৯-৩০)
“যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে, আমার দেয়া রিজিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে এমন ব্যবসার যা কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরো অধিক দান করবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।”[১]

কুরআন তিলাওয়াত দু’প্রকার। যথা :
১. তিলাওয়াতে লাফজি বা আক্ষরিক পাঠ
২. তিলাওয়াতে হুকমি বা কার্যকর পাঠ।

প্রথম প্রকার তিলাওয়াত : তিলাওয়াতে লাফজি

তিলাওয়াতে লাফজি, অর্থাৎ কুরআনের অক্ষর ও শব্দ পাঠ করা। এ তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে ওসমান রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
(خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ)
“তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি যিনি কুরআন মজিদ শিক্ষা করে ও অন্যকে শিক্ষা দেয়।”[২]

উম্মুল মোমেনিন আয়েশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহু আনহার সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
)الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ- أحدهما على التلاوة والثاني على مشقتها على القاري(
“আল কুরআনে দক্ষ ও পণ্ডিত ব্যক্তি সম্মানিত পুণ্যবান ফেরেশতাদের সাথে থাকবে। যে ব্যক্তি কুরআন আটকে আটকে তিলাওয়াত করে এবং তা তার জন্য কষ্টকর হয়, তার জন্য দু’টি প্রতিদান রয়েছে। প্রথমটি, তিলাওয়াতের প্রতিদান, দ্বিতীয়টি কষ্টের প্রতিদান।”[৩]

কুরআনুল কারিমের ছেড়া ও পুরনো পৃষ্ঠা পোড়ানোর বিধান

      কুরআনুল কারিমের ছেঁড়া ও পুরনো পৃষ্ঠা পোড়ানোর বিধান

                                                 
কুরআনুল কারিমের ছেড়া ও পুরনো পৃষ্ঠা পোড়ানোর বিধান

                                          কুরআনুল কারিমের ছেড়া ও পুরনো পৃষ্ঠা পোড়ানোর বিধান

কুরআনুল কারিম আল্লাহ তা‘আলার কালাম, যা তিনি জিবরিল ‘আলাইহিস সালামের মাধ্যমে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল করেছেন। অতএব যে আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের উপর ইমান রাখে, তার উপর কুরআনুল কারিমের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও অপমানের স্থান থেকে তা রক্ষা করা অবশ্য কর্তব্য। কোনো মুসহাফ/ কুরআন যদি পুরনো হয়, ছিড়ে যায় ও তার পৃষ্ঠাগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়, তাহলে এমন জায়গায় রাখা যাবে না, যেখানে অপমানের সম্মুখীন হয়, ময়লা-আবর্জনায় পতিত হয়, মানুষ বা জীব-জন্তু দ্বারা পিষ্ট হয়।
পুরনো কুরআন যদি বাঁধাই করে পাঠ উপযোগী করা সম্ভব হয়, তাহলে পরিত্যক্ত না রেখে ব্যবহার করাই শ্রেয়। অনুরূপ প্রকাশক বা কারো অবহেলা ও ভুলের কারণে কুরআনুল কারিম যদি ভুল ছাপা হয়, আর সংশোধন করা সম্ভব হয়, তাহলে সংশোধন করে পাঠ উপযোগী করা জরুরি।
পুরনো বা ভুলছাপার কুরআন যদি পাঠ উপযোগী করা সম্ভব না হয়, তাহলে অসম্মান ও বিকৃতি থেকে সুরক্ষার জন্য মুসহাফগুলো পোড়ানো কিংবা নিরাপদ স্থানে দাফন করা জরুরি।
শায়খ সালেহ আল-ফাওযান বলেন: “পোড়ানো ও দাফন করা উভয় পদ্ধতি সাহাবিদের থেকে প্রমাণিত”।[1]

অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার বিধান ।

                 অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার বিধান ।

                                                                



                                           অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার বিধান

অধিকাংশ আলেমের মতে অযু ব্যতীত মুসহাফ/ কুরআনুল কারিম স্পর্শ করা বৈধ নয়। ইমাম আবু হানিফা[1], মালিক[2], শাফেয়ী[3], আহমদ ইবনে হাম্বল[4] ও শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ[5] প্রমুখগণ এ মত পোষণ করেছেন। সাহাবিদের ফতোয়াও তাই ছিল। দলিল হিসেবে তারা পেশ বলেন:

১. ইয়ামানের গভর্নর আমর ইবনে হাযম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিখে পাঠান:
«أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ».
“পবিত্র সত্তা ব্যতীত কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না”।[6]

‘সাদাকাল্লাহুল আজিম’ বলার বিধান

                       ‘সাদাকাল্লাহুল আজিম’ বলার বিধান ।

                                                                     

                                                     ‘সাদাকাল্লাহুল আজিম’ বলার বিধান

কতিপয় কারি কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত শেষে صَدَقَ اللهُ الْعَظِيْمُ বলেন।[1] এরূপ বলার কোনো ভিত্তি নেই। এতে সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ তা‘আলা সত্যবাদী, তার কালাম চিরসত্য। ইমাম নাসাঈ রাহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন:
((إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ، وَأَحْسَنَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ».
“নিশ্চয় সবচেয়ে সত্যকথা হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মদের আদর্শ”।[2]
তিলাওয়াতের সাথে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উক্ত কথার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।