Wednesday, July 29, 2015

হজ্জ ও উমরাহ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল

                                               
যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল

                                             যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল
আল্লাহ তা‘আলা দয়ালু। তাই তিনি আপন বান্দাদের তওবার সুযোগ দিতে ভালোবাসেন। তিনি চান বান্দারা ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ করুক। এ উদ্দেশ্যে তিনি আমাদের জন্য বছরে কিছু বরকতময় ও কল্যাণবাহী দিন রেখেছেন- যাতে আমলের সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়। আমরা পরীক্ষার দিনগুলোতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাই সবচে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য। তবে কেন আখেরাতের জন্য এসব পরীক্ষার দিনগুলোতেও সর্বাধিক প্রচেষ্টা ব্যয় করব না? এ দিনগুলোতে আমল করা তো বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি নেকী ও কল্যাণ বয়ে আনে। এমন দিনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যিলহজ মাসের এই প্রথম দশদিন। এ দিনগুলো এমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেগুলোকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাতে আমলের প্রতি তিনি সবিশেষ উদ্বুদ্ধ করেছেন। এ দিনগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে শুধু এতটুকুই যথেষ্ট যে আল্লাহ তা‘আলা এর কসম করেছেন

বৃস্তারিত পড়ুন


তোওয়া হজ্জ: হজ্জ সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৯০টি প্রশ্নোত্তর

                                                 


                                        ফতোওয়া হজ্জ: হজ্জ সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৯০টি প্রশ্নোত্তর
                                         (ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম থেকে)
মূল: শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন (রহ.)
অনুবাদক: মুহাঃ আব্দুল্লাহ আল-কাফী ও আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানী

প্রশ্নঃ (৪৪৯) বেনামাযীর হজ্জের বিধান কি? যদি এ ব্যক্তি তওবা করে, তবে সমস্ত ইবাদত কি কাযা আদায় করতে হবে?
উত্তরঃ নামায পরিত্যাগ করা কুফরী। নামায ছেড়ে দিলে মানুষ ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে এবং চিরকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে। একথার দলীল হচ্ছে কুরআন, সুন্নাহ্‌ ও ছাহাবায়ে কেরামের উক্তি। অতএব যে লোক নামায পড়ে না তার জন্য মক্কা শরীফে প্রবেশ করা বৈধ নয়। কেননা আল্লাহ্‌ বলেন,
]يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْمُشْرِكُونَ نَجَسٌ فَلَا يَقْرَبُوا الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ بَعْدَ عَامِهِمْ هَذَا[
“হে ঈমানদারগণ! মুশরিকরা হচ্ছে একেবারেই অপবিত্র, অতএব তারা যেন এ বছরের পর মসজিদুল হারামের নিকটেও আসতে না পারে।” (সূরা তাওবাঃ ২৮)

Read More


প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান

                                                          
প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান

প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান

সংকলন ও গ্রন্থনা : মুহা: আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী (লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)

(১ম পর্ব)
বিষয়: ঈমান ও আক্বীদা

১. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তার নাম কি?
উত্তরঃ আল্লাহ্‌।
২. প্রশ্নঃ আল্লাহর কতগুলো নাম রয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’আলার নাম অসংখ্য-অগণিত।
৩. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌ কোথায় আছেন?
উত্তরঃ সপ্তাকাশের উপর আরশে আযীমে। (সূরা ত্বহাঃ ৫)

Read more

হজ্জের পর হাজী সাহেবের করণীয়

                                                               
হজ্জের পর হাজী সাহেবের করণীয়


                                                           বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

                                                                        হজ্জের পর কী?

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্য, যাঁর নেয়ামতেই সকল সৎকাজসমূহ সম্পন্ন হয়ে থাকে, আর তাঁর দয়াতেই সকল ইবাদাত কবুল হয়ে থাকে। আমরা তাঁর প্রশংসা করছি, তাঁর শুকরিয়া আদায় করছি, আর এ সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন হক মা‌‘বুদ নেই এবং সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ্ তার উপর, তার পরিবার ও সঙ্গী সাথীদের উপর দুরুদ প্রেরণ করুন এবং বহু পরিমানে সালাম পেশ করুন। তারপর,
হজ্ গত হল, তার কার্যাদি পূর্ণ হলো, আর হজের মাসসমূহ তার কল্যাণ ও বরকত নিয়ে চলে গেল। এ দিনগুলো অতিবাহিত হলো, আর মুসলিমগণ তাতে তাদের হজ সম্পাদন করল, তাদের কেউ আদায় করল ফরয হজ্, অপর কেউ আদায় করল নফল হজ্, তাদের মধ্যে যাদের হজ কবুল হয়েছে তারা তাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে নিয়ে এমন দিনের মত প্রত্যাবর্তন করল যেমন তাদের মাতাগণ তাদেরকে জন্ম দিয়েছিল। সুতরাং সফলকামদের জন্য রয়েছে মুবারকবাদ। যাদের থেকে তা গ্রহণযোগ্য হয়েছে তাদের সৌভাগ্যই সৌভাগ্য!
“আল্লাহ তো কেবল মুত্তাকীদের পক্ষ থেকেই কবুল করে থাকেন”।[1]
Read more

যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন, ঈদ, কুরবানি ও আইয়ামে তাশরীকের দিনসমূহ

                                                         
যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন, ঈদ, কুরবানি ও আইয়ামে তাশরীকের দিনসমূহ


ভূমিকা

إِنَّ الْحَمْدُ للهِ ، نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ وَنَسْتَغْفِرُهُ ، وَنَعُـوْذُ بِاللهِ مِنْ شُرُوْرِ أَنْفُسِنَا ، وَمِنْ سَيِّئَاتِ أَعْمَالِنَا ، مَنْ يَّهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ ، وَمَنْ يُّضْلِلِ اللهُ فَلاَ هَادِيَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
নিশ্চয়ই যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য। আমরা তাঁরই প্রশংসা করি, তার কাছেই সাহায্য চাই, তার নিকটই ক্ষমা প্রার্থনা করি। আল্লাহর নিকট আমরা আমাদের প্রবৃত্তির অনিষ্টতা ও আমাদের কর্মসমূহের ক্ষতি থেকে আশ্রয় কামনা করি। আল্লাহ যাকে হেদায়াত দেন, তাকে গোমরাহ করার কেউ নেই। আর যাকে গোমরাহ করেন তাকে হেদায়াত দেওয়ার কেউ নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্যিকার ইলাহ নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নাই। আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। সালাত ও সালাম নাযিল হোক তার উপর, তার পরিবার-পরিজন ও তার সাহাবীদের উপর এবং যারা কিয়ামত অবধি কল্যাণের সাথে তাদের অনুসরণ করেন তাদের উপর।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বীয় বান্দাদের প্রতি অধিক দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তিনি তার বান্দাদের যে কোনো উপায়ে ক্ষমা করতে ও তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করতে পছন্দ করেন। এ কারণেই আল্লাহ বান্দাদের জন্য বিভিন্ন আমলের বিনিময় অগণিত অসংখ্য পুরস্কার ঘোষণা করেন। বিভিন্ন সময়ে আল্লাহ তাদের আমল করার সুযোগ দিয়ে তাদের নাজাতের ব্যবস্থা করেন। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা রমজান মাসকে স্বীয় বান্দাদের জন্য রহমত ও মাগফিরাতের মাস হিসেবে নির্বাচন করেছেন। আবার রমজান মাসের শেষ দশ দিনকে আরও বেশি গুরুত্ব দেন। আবার শেষ দশ দিনের মধ্যে এমন একটি রাত রেখেছেন যে রাতের ইবাদত হাজার রাতের ইবাদতের চেয়ে উত্তম বলে ঘোষণা দেন। রমজান মাসের রোজা রাখাকে জাহান্নাম থেকে বাচার ডাল স্বরূপ বলা হয়েছে এবং আশুরার রোজা রাখলে এক বছরের গুনাহ মাপের ঘোষণা দিয়েছেন এবং আরাফার দিবসের রোজা রাখাতে পূর্বের ও পরবর্তী এক বছরের গুনাহ মাফের ঘোষণা দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় বান্দাদের প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ দেখিয়ে তাদের কোনো না কোনো উপায়ে জান্নাত লাভের পথকে সহজ করেছেন। যাতে বান্দাগণ আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধন্য হন। এ ধরনের একটি মৌসুম হল, যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন ও তার পরবর্তী তাশরীকের দিনসমূহ। আল্লাহ তা‘আলার অশেষ মেহেরবানী যে, তিনি নেককার বান্দাদের জন্য এ মৌসুমে স্বীয় বান্দাদের জন্য নেক আমল করার সুযোগ করে দিয়েছেন এবং দিনগুলোতে যে কোনো ধরনের নেক আমল করা আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ সুযোগটি একজন বান্দার দীর্ঘ জীবনে বারবার আসে আর যায়। সৌভাগ্যবান সে ব্যক্তি যে আল্লাহর দেওয়া সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ধন্য হতে পারে। আর দুর্ভোগ ও হতাশা তাদের জন্য এ সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি। নিজের ইহকাল ও পরকালের জীবনের জন্য কোনো কিছুই উপার্জন করতে পারে নি।

Read More

বিদায় হজের খুতবা : কিছু আলোকপাত

                                                    
বিদায় হজের খুতবা : কিছু আলোকপাত

                                              বিদায় হজের খুতবা : কিছু আলোকপাত

হজের যাবতীয় বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে। হজের বিধানাবলির মধ্যে রয়েছে আল্লাহ তা‘আলার পবিত্রতা ঘোষণা করা, তাঁর স্তুতি জ্ঞাপন করা, তাঁর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা, তাঁর আদেশ পালন করা, একত্ববাদের ঘোষণা দেয়া এবং তাঁর যে কোনো অংশীদারিত্বকে অস্বীকার করা। হজের শ্লোগানতুল্য তালবিয়ায় যেমন বলা হয়,
« لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَك ».
‘আমি হাযির, হে আল্লাহ, আমি হাযির। তোমার কোন শরীক নেই, আমি হাযির। নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা ও নিয়ামত তোমার এবং রাজত্বও, তোমার কোন শরীক নেই।’ [বুখারী : ৫৯১৫, মুসলিম : ১১৮৪]
এভাবেই এ বাক্যে ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হতে থাকে তাওহীদের ঘোষণা। জমাট বাধা শিরকের অন্ধকার দূর করার জন্য এ বিশাল আহ্বান হাজীদের সঙ্গে ধ্বনিত থেকে থাকে। যাতে মানুষের স্বভাব এবং প্রকৃতি হয় সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন। পূর্বে যেমন তা ছিল পৌত্তলিকতা থেকে পবিত্র। তাওহীদের দীপ্তিতে তা দীপ্তিময় হয়। অহীর আলোয় তা হয় আলোকিত এবং পরাক্রমশালী এক সত্তার দাসত্বে তা হয় অটল। তেমনিভাবে তা সব ধরনের তাগুত এবং মূর্তিকে ছুড়ে ফেলে দেয়। ঈমানী কল্পনাকে সুদৃঢ় করে। অতএব এক আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া এমন কোনো মা‘বুদ নেই ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে সৃষ্টিজীব যার অভিমুখী থেকে পারে। এক আল্লাহ তা‘আলার দিক ছাড়া এমন কোনো দিক নেই যেখান থেকে তারা তাদের আচরণ, আখলাক, তাদের শরীয়তের নীতিমালা কিংবা বিধানাবলী পেতে পারে। এক আল্লাহ তা‘আলার পন্থা ছাড়া তাদের এমন কোনো পন্থা নেই যা তাদের জীবন এবং তাদের কার্যাদি পরিচালনা করতে পারে। আল কুরআনুল কারীমে বলা হয়েছে,
﴿ وَمَا مِنۡ إِلَٰهٍ إِلَّآ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۚ ﴾ [المائ‍دة: ٧٣]
‘এক ইলাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই।’{সূরা আল-মায়িদা, আয়াত : ৭৩}
বিদায়ী হজের বছর জিলহজ মাসের ৮ তারিখ। মক্কা মুকাররমার কোল থেকে মিনার পাথুরে অঞ্চলের উদ্দেশ্যে এক ঝাঁক নববী মশাল যাত্রা শুরু করল। সেখানেই রাত্রিযাপন করল। যাতে ৯ তারিখ আরাফার দিকে রওনা করা যায়। সেখানে সূর্য হেলে যাওয়ার পর নানা জনপদ থেকে দলে দলে দুর্গম গিরি ডিঙ্গিয়ে আসা লাখো জনতার উদ্দেশে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দেন। এমন সারগর্ভ ও ব্যাপক খুতবা দান করেন, যা প্রতিটি হৃদয় ও কর্ণকে প্রজ্ঞা ও বিধানে, অনুগ্রহ ও বিশ্বাসে এবং দয়া ও সদাচারে পূর্ণ করে দিয়েছে। এ থেকে প্রতিটি অন্তুর খুঁজে পেয়েছে আত্মশুদ্ধির যাবতীয় উপায়, হেদায়েতের সকল প্রকার এবং জাতিঘাতি সব ব্যাধি থেকে সুরক্ষার পন্থা।
বলাবাহুল্য, এ ছিল এমন এক উপলক্ষ এত বিশাল জনগোষ্ঠীর সামনে এভাবে কথা বলার সুযোগ নিয়ে যা বারবার আসে না। বিদায়ী নেতার সঙ্গে কোনো জাতির এমন প্রাণোচ্ছল ও বিশ্বাসদীপ্ত সাক্ষাতের তুলনা হয় না। একইসঙ্গে তা বাঁধ ভাঙ্গা কান্না ও বিষাদেরও উপলক্ষ। কারণ, তা ছিল আখেরী উম্মতের কাছ থেকে আখেরী নবীর শেষ সাক্ষাৎ।
«أَيّهَا النّاسُ اسْمَعُوا قَوْلِي ، فَإِنّي لَا أَدْرِي لَعَلّي لَا أَلْقَاكُمْ بَعْدَ عَامِي هَذَا بِهَذَا الْمَوْقِفِ أَبَدًا».
‘হে লোক সকল, তোমরা আমার কথা শুন, কারণ আমি জানি না সম্ভবত এ বছরের পরে এ জায়গায় আর কখনো তোমাদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হবে না।’ [ইবন হিশাম, আস-সিরাহ আন-নাবাবিয়্যাহ : ২/৬০৩]
উম্মতের উদ্দেশে প্রদত্ত তাঁর এ ভাষণে স্থান পেয়েছে স্থায়ী রিসালাতকে পৃথককারী বিশাল প্রমাণস্বরূপ সাধারণ নীতিমালা এবং ব্যবস্থাপনা জ্ঞানের ভিত্তিসমূহ। কোনো মাইক বা প্রচার মাধ্যম ছাড়াই এ বিশাল গণজমায়েত তাঁর বক্তব্য শ্রবণ করেছে।
Read More

জিলহজের প্রথম দশদিনের ফযীলত এবং ঈদ ও কুরবানীর বিধান

                                                               
 জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের ফযীলত এবং ঈদ ও কুরবানীর বিধান


                                জিলহজ মাসের প্রথম দশদিনের ফযীলত এবং ঈদ ও কুরবানীর বিধান

• জিলহজ মাসের দশদিনের ফযীলত :

আল্লাহ তা‌’আলার অশেষ মেহেরবানী যে, তিনি নেককার বান্দাদের জন্য এমন কিছু মৌসুম করে দিয়েছেন, যেখানে তারা প্রচুর নেক আমল করার সুযোগ পায়, যা তাদের দীর্ঘ জীবনে বারবার আসে আর যায়। এসব মৌসুমের সব চেয়ে বড় ও মহত্বপূর্ণ হচ্ছে জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন।

• জিলহজ মাসের ফযীলত সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসের কতক দলীল :

১. আল্লাহ তা‌’আলা বলেন :
﴿ وَالْفَجْرِ، وَلَيَالٍ عَشْرٍ ﴾ [الفجر:1-2]
কসম ভোরবেলার। কসম দশ রাতের। (সূরা ফাজর : ১-২)
ইবনে কাসীর রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন : এর দ্বারা উদ্দেশ্য জিলহজ মাসের দশ দিন।
২. আল্লাহ তা‌আলা বলেন :
﴿ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَّعْلُومَاتٍ ﴾ [الحج:28]
তারা যেন নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নাম স্মরণ করে। (হজ : ২৮)
ইবনে আব্বাস বলেছেন : অর্থাৎ জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন।
৩. ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
এ দিনগুলোর তুলনায় কোনো আমল-ই অন্য কোন সময় উত্তম নয় । তারা বলল : জিহাদও না ? তিনি বললেন : জিহাদও না, তবে যে ব্যক্তি নিজের জানের শঙ্কা ও সম্পদ নিয়ে বের হয়েছে, অতঃপর কিছু নিয়েই ফিরে আসেনি। (বুখারী)
Read More

যিলহজ, ঈদ ও কোরবানি

                                              

                                             যিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনের ফজিলত ও আমল
১-যিলহজ মাসের প্রথম দশকের ফজিলত
২-যিলহজ মাসের প্রথম দশকে নেক আমলের ফজিলত

যিলহজের প্রথম দশ দিনে যে সকল নেক আমল করা যেতে পারে
১-খাঁটি মনে তওবা করা
২-তওবা কবুলের শর্ত
৩-হজ ও ওমরাহ আদায় করা
৪-নিয়মিত ফরজ ও ওয়াজিব সমূহ আদায়ে যত্নবান হওয়া
৫-বেশি করে নেক আমল করা
৬-আল্লাহ তাআলার জিকির করা
৭-উচ্চস্বরে তাকবীর পাঠ করা
৮-সিয়াম পালন করা
৯-কোরবানি করা
১০-ঈদের সালাত আদায় করা

আরাফাহ দিবস
১-আরাফাহ দিবসের ফজিলত
২-আরাফাহ দিবসে যে সকল আমল শরিয়ত দ্বারা প্রমাণিত

কোরবানির দিন
১-কোরবানির দিনের ফজিলত
২-কোরবানির দিনের করণীয়

আইয়ামুত-তাশরীক ও তার করণীয়
১-আইমুত তাশরীক এর ফজিলত
২- আইমুত তাশরীকে করণীয়

ঈদের তাৎপর্য ও করণীয়
১-ঈদের সংজ্ঞা
২-ইসলামে ঈদের প্রচলন
৩-ঈদের তাৎপর্য
৪-ঈদের দিনের করণীয়
(১) ঈদের দিন গোসল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন ও সুগন্ধি ব্যবহার
(২) ঈদের দিনে খাবার গ্রহণ প্রসঙ্গে
(৩) পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া
(৪) ঈদের তাকবীর আদায়

ঈদের সালাত
১- ঈদের সালাতের হুকুম
২-ঈদের সালাত আদায়ের সময়
৩-ঈদের সালাত কোথায় আদায় করবেন ?
৪-ঈদের সালাতের পূর্বে কোন সালাত নেই
৫- ঈদের সালাতে কোন আজান ও একামত নেই
৬- ঈদের সালাতে মহিলাদের অংশ গ্রহণের নির্দেশ
৭-ঈদের সালাত আদায়ের পদ্ধতি
৮-ঈদের খুতবা শ্রবণ
৯-ঈদের সালাতের কাজা আদায় প্রসঙ্গে
১০-ঈদে শুভেচ্ছা বিনিময়ের ভাষা
১১-আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ খবর নেয়া ও তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া

ঈদে যা বর্জন করা উচিত
১-কাফেরদের সাথে সাদৃশ্যতা রাখে এমন ধরনের কাজ বা আচরণ
২-পুরুষ কর্তৃক মহিলার বেশ ধারণ ও মহিলা কর্তৃক পুরুষের বেশ ধারণ
৩-ঈদের দিনে কবর জিয়ারত
৪-বেগানা মহিলা পুরুষের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ
(ক) মহিলাদের খোলা-মেলা অবস্থায় রাস্তা-ঘাটে বের হওয়া
(খ) মহিলাদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ
৫-গান-বাদ্য

কোরবানি : তাৎপর্য ও আহকাম
কোরবানির অর্থ ও তার প্রচলন
কোরবানির বিধান
কোরবানির ফজিলত
কোরবানির শর্তাবলি

কোরবানির নিয়মাবলি
১-কোরবানির পশু কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট করা
২-কোরবানির ওয়াক্ত বা সময়
৩-মৃত ব্যক্তির পক্ষে কোরবানি
৪-অংশীদারির ভিত্তিতে কোরবানি করা
৫-কোরবানি দাতা যে সকল কাজ থেকে দূরে থাকবেন
৬-কোরবানির পশু জবেহ করার নিয়মাবলি
৭-জবেহ করার সময় যে সকল বিষয় লক্ষণীয়
৮-কোরবানির গোশত কারা খেতে পারবেন

বিস্তারিত দেখুন

নারীর হজ ও উমরা

নারীর হজ ও উমরা

 

                                                                       সূচীপত্র
ভূমিকা

হজের অর্থ :
হজের গুরুত্ব ও ফজিলত :
মহিলাদের হজের গুরুত্ব:
হজের শর্তসমূহ:
এক. আর্থিক সক্ষমতা
আর্থিক সংগতি বলতে কি বুঝায়? তার পরিমাণ কত ?

মাহরাম কারা?
এক. বংশীয় মাহরাম
দুই. দুধ খাওয়া জনিত মাহরাম
তিন. বৈবাহিক সম্পর্কের কারণে মাহরাম
মাহরাম-এর কিছু শর্ত:

হজের আদবসমূহ:
আল্লাহর দরবারে আমল কবুল হওয়ার জন্য শর্ত সমূহ
হজ শুরু করার আগে যা করণীয়
এক. হজ শুরু করার আগে আপনাকে কয়েকটি কাজ করতে হবে
দুই. হজের সফরে আপনাকে কয়েকটি জিনিস সাথে নিতে হবে
তিন. হজের সফরে যাওয়ার সময় আপনার বিশেষ করণীয়
মহিলা হাজী সাহেবার জন্য যা বর্জনীয়
এহরামের আগে ও পরে সর্বাবস্থায় বর্জনীয় বিষয়সমূহ

এহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজসমূহ
যদি কেউ নিষিদ্ধ বিষয়গুলো করে ফেলে তার কি করা উচিত ?
মহিলা হাজী সাহেবার এহরামের পোশাক
মহিলা হাজী সাহেবারা কীভাবে হজ এবং উমরা সম্পন্ন করবেন
উমরা অথবা হজের এহরাম হওয়ার আগে মহিলাদের
জন্য যা কিছু মুস্তাহাব
এহরাম অবস্থায় মহিলাদের পোশাক
তাওয়াফের ব্যাপারে মহিলাদের বিশেষ কিছু নির্দেশনা
তামাত্তু হজকারী হাজী সাহেবার জন্য হজের কার্যাবলী
তামাত্তু হজ আদায়কারী হাজী সাহেবাদের কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত রূপ
'ইফরাদ' অথবা 'কিরান'
হজ আদায়কারী হাজী সাহেবাদের কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত রূপ
'কিরান' হজ আদায়কারী এবং 'ইফরাদ' হজ আদায়কারীর মধ্যে পার্থক্য

কিরান হজ আদায়কারীর কর্মকাণ্ড
ইফরাদ হজ আদায়কারীর কর্মকাণ্ড
হায়েয বা নেফাস ওয়ালী মহিলা হাজী সাহেবানদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড
হজে মহিলাদের সৌন্দর্যচর্চা সংক্রান্ত বিভিন্ন হুকুম আহকাম
হজে মহিলা ও তার সন্তান-সন্ততি
একনজরে মহিলা ও পুরুষ হাজীদের মধ্যে পার্থক্যসমূহ
শরিয়ত নিষিদ্ধ কিছু কর্মকাণ্ড থেকে সাবধানকরণ
মহিলা হাজীসাহেবা ও মদিনা শরীফের যিয়ারত
আল্লাহর দরবারে কবুল না হওয়ার ভয় থাকা
মহিলা হাজী সাহেবার জন্য সহিহ হাদিস থেকে নির্বাচিত কিছু মাসনুন দো'আ

বিস্তারিত দেখুন

হজ, উমরা ও যিয়ারতের পদ্ধতি [মাসনূন দো‘আ সহ]

 

ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা সারা বিশ্বের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য। পবিত্র ও বরকতময় অগণিত স্ত্ততি আল্লাহর জন্যই নিবেদিত। আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা যিনি সম্মানিত ঘরকে মানুষের মিলনকেন্দ্র ও নিরাপদ স্থানে পরিণত করেছেন, যে ঘরের প্রতি রয়েছে আল্লাহর মু’মিন বান্দাদের হৃদয়ের আকর্ষণ।
দরূদ ও সালাম প্রিয় নবী মুস্তাফার উপর যিনি ঔ সকল ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোত্তম যারা আল্লাহর ঘরে হজ ও উমরা পালন করেছেন, যাকে সারা জগতের জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আমানতের দায়িত্ব আদায় করেছেন, উম্মাতকে নসীহত করেছেন, আল্লাহর পথে সর্বাত্মক জিহাদ করেছেন, আল্লাহ তাঁকে দ্বীন ইসলাম সহকারে পাঠিয়েছেন। তা দিয়ে তিনি বান্দাহদেরকে সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন এবং কুফর ও শির্কের অন্ধকার থেকে তাদেরকে মুক্ত করে ইসলামের প্রদীপ্ত সূর্যালোকে নিয়ে এসেছেন।
আল্লাহ তা’আলা বলেন :
﴿ وَكَذَٰلِكَ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ رُوحٗا مِّنۡ أَمۡرِنَاۚ مَا كُنتَ تَدۡرِي مَا ٱلۡكِتَٰبُ وَلَا ٱلۡإِيمَٰنُ وَلَٰكِن جَعَلۡنَٰهُ نُورٗا نَّهۡدِي بِهِۦ مَن نَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِنَاۚ وَإِنَّكَ لَتَهۡدِيٓ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ٥٢ ﴾ [الشورى: ٥٢]
‘‘আর এভাবে আমি আপনার কাছে অহী প্রেরণ করেছি যা আমার নির্দেশের অন্তর্গত। আপনি তো জানতেন না কিতাব কি এবং ঈমান কি ! কিন্তু আমি একে এমনই এক আলোকবর্তিকায় পরিণত করেছি যদ্বারা আমার বান্দাদের থেকে যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করি। আর আপনিতো নিশ্চয়ই সরল পথের দিকে পথ প্রদর্শনই করেন।’’[সুরা আশ্ শুরা: ৫২]
হে আল্লাহ আপনি যে শরীয়ত প্রদান করেছেন সে জন্য আপনার প্রশংসা। আপনি যে নির্দেশ দিয়েছেন সে জন্য আপনার প্রশংসা। আপনি যা সহজ করেছেন এবং নির্ধারণ করে দিয়েছেন সে জন্য আপনার প্রশংসা।

বিস্তারিত দেখুন

প্রশ্নোত্তরে হজ্জ ও উমরা (১ম পর্ব)                                                                                        



ভূমিকা

الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله
সরল ভাষায় হজ্জ ও উমরা বিষয়ে একটি বই লেখার পরিকল্পনা করেছিলাম অনেক আগেই। বিগত ২০০৬ এর জানুয়ারীর (১৪২৬ হিঃ) হজ্জে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে হাজীদের কিছু ভুল-ত্রুটি আমার নযরে আসায় বইটি লিখার আগ্রহ বেড়ে যায় বহুগুণে। আল্লাহর রহমতে রেফারেন্স হিসেবে পেয়ে গেলাম ২০-এর কাছাকাছি শুধু আরবী গ্রন্থকারদের কিতাব। পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য হাদীসে জিবরীলের মত এটাকে প্রশ্নোত্তর আকারে সাজালাম। পড়লে মনে হবে যেন দু'জন বসে কথা বলছেন। এদেশের হাজীদের আনুমানিক ৯৫% ভাগই সাধারণ শিক্ষিত। একটা নির্ভুল হজ্জ আদায়ের জন্য তারাই আমার এ বইয়ের প্রধান টার্গেট। প্রতিটি মাসআলা বিশুদ্ধ দলীলের ভিত্তিতে সাজাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। চারজন বিশেষজ্ঞ ফকীহসহ আরো কয়েকজন অভিজ্ঞ আলেম এর বিশুদ্ধতা যাচাই ও এ বিষয়ে সুন্দর পরামর্শ প্রদানে আমাকে সহায়তা করেছেন। তাদের পুরস্কার আল্লাহর কাছে রইল। ছোট্ট কলেবরে সর্বাধিক তথ্য দিতে চেষ্টা করেছি। বইটি যাতে সর্বমহলের কাছে সহজসাধ্য হয় সেজন্য খুব জটিল, সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ণ ও বিস্তারিত মাসআলায় যাইনি। এ বইটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হবে বিষয়বস্তুর সহজ উপস্থাপনা, অতি সহজে হজ্জ-উমরা বুঝতে পারা। অনিচ্ছাকৃত ভুল-ত্রুটির জন্য ক্ষমা ও আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ আমার কাম্য। ২০০৬ ডিসেম্বরে বইটি প্রথম প্রকাশিত হওয়ার পর এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও বিপুল চাহিদার প্রেক্ষিতে আল্লাহর রহমতে ২০০৮ এর এপ্রিলে মাত্র দেড় বছরে চতুর্থ সংস্করণ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। আল্লাহ আমাদের ও লক্ষ লক্ষ মুসলমানের উমরা ও হজ্জ কবূল করুন এবং আখিরাতে আমাদের নাজাত দিন। আমীন।

বিস্তারিত দেখুন

প্রশ্নোত্তরে হজ্জ ও উমরা (২য় পর্ব)



১৭শ অধ্যায়
বিবিধ মাস্‌আলা

প্রঃ ১৮২- আমরা জানি যে, শিশুদের উপর হজ্জ ফরজ নয়। কিন্তু তারা হজ্জ করলে তা কি শুদ্ধ হবে?
উঃ- হাঁ। শুদ্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সাওয়াব পাবে শিশুর মাতা-পিতা। তবে বালেগ হওয়ার পর যদি পূর্বে বর্ণিত চারটি শর্ত (প্রশ্ন নং-১০) পূরণ হয় তবে তাকে আবার ফরজ হজ্জ আদায় করতে হবে।
প্রঃ ১৮৩- মেয়েরা কি একাকী হজ্জে যেতে পারবে?
উঃ- না। মেয়েলোক হলে তার সাথে পিতা, স্বামী, ভাই, ছেলে বা অন্য মাহরাম পুরুষ থাকতে হবে। দুলাভাই, দেবর, চাচাতো-মামাতো-খালাতো-ফুফাতো ভাই তথা গায়রে মাহরাম হলে চলবে না।
প্রঃ ১৮৪- মৃত ব্যক্তি যার উপর হজ্জ ফরজ ছিল বা মান্নতী হজ্জ ছিল এমন ব্যক্তির হজ্জ পালনের বিধান কি?
উঃ- মৃত ব্যক্তির রেখে যাওয়া সম্পদ দিয়েই তার পরিবারের লোকেরা কাযা হজ্জ করিয়ে নিবে।
প্রঃ ১৮৫- সুস্থ অবস্থায় হজ্জ ফরজ হওয়ার পর বিলম্ব করার কারণে পরে যদি অসুস্থ বা রোগাগ্রস্ত হয়ে অক্ষম হয়ে যায় তাহলে কিভাবে হজ্জ করবে?
উঃ- অন্য কাউকে পাঠিয়ে ফরজ হজ্জ কাযা করিয়ে নিতে হবে।
প্রঃ ১৮৬- নিজে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা নেই এমন অবস্থায় কাউকে পাঠিয়ে বদলী হজ্জ করিয়ে নেয়ার পর যদি আবার সুস্থতা ফিরে আসে তাহলে কি নিজে আবার হজ্জে যাওয়া লাগবে?
উঃ- না, আর যেতে হবে না। কেননা, ফরজ তার আদায় হয়ে গেছে।
প্রঃ ১৮৭- যে কেউ কি বদলী হজ্জ করতে পারবে?
উঃ- না। যে ব্যক্তি কারোর বদলী হজ্জে যাবে তার নিজের হজ্জ আগে করে নিতে হবে। (আবূ দাঊদ, ইবনে মাজাহ)
প্রঃ ১৮৮- বদলী হজ্জ হলে কোনটি উত্তম-তামাত্তু, কিরান, নাকি ইফ্‌রাদ?
উঃ- যিনি বদলী হজ্জ করাবেন তাঁর পক্ষ থেকে কোন শর্ত না থাকলে যেকোনটি করা যায়।

বিস্তারিত দেখুন

No comments:

Post a Comment