Friday, July 31, 2015

সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়

সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়

সিয়াম, তারাবীহ ও যাকাত বিষয়ে কয়েকটি অধ্যায়


ভূমিকা

সকল প্রশংসার মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা, আমরা তার প্রশংসা করি, তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি, তার নিকট ইস্তেগফার করি এবং তার নিকট তওবা করি। আমরা আমাদের নফসের কু-প্রবৃত্তি ও আমাদের আমলের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই। তিনি যাকে হিদায়েত করেন তার কোন গোমরাহকারী নেই, তিনি যাকে গোমরাহ করেন তার কোন হিদায়েতকারী নেই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তিনি এক তার কোন শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ দরূদ ও সালাম প্রেরণ করুন তার উপর, তার পরিবারের উপর, তার সাথীদের উপর এবং কিয়ামত পর্যন্ত সঠিকভাবে যারা তাদের অনুসরণ করবে তাদের সকলের উপর।

কুরআনের আলোকে যাকাতের বিধান

জাকাত
 কুরআনের আলোকে যাকাতের বিধান



                                                                জাকাত

                                             কুরআনের আলোকে যাকাতের বিধান

প্রিয় ভইয়েরা! কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন :
]وَمَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاءَ وَيُقِيمُوا الصَّلاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ[ (البينة:৫)
'তাদের এ মর্মে আদেশ করা হয়েছে যে, তারা নিবিষ্ট মনে একান্তভাবে শুধুমাত্র আল্লাহর এবাদত করবে, যথাযথভাবে সালাত আদায় করবে, জাকাত প্রদান করবে, আর এটাই হলো সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন।'[১]

ফতোওয়া যাকাত: যাকাত বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৭টি প্রশ্নোত্তর

ফতোওয়া যাকাত: যাকাত বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৭টি প্রশ্নোত্তর

 ফতোওয়া যাকাত: যাকাত বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৭টি প্রশ্নোত্তর

                                ফতোওয়া যাকাত: যাকাত বিষয়ক অতি গুরুত্বপূর্ণ ৩৭টি প্রশ্নোত্তর
(ফতোওয়া আরকানুল ইসলাম থেকে)
মূল: আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালিহ আল উছাইমীন (রাহ:)
অনুবাদক: শাইখ মুহা: আব্দুল্লাহ আল কাফী

প্রশ্ন: (৩৫৪) যাকাত ফরয হওয়ার শর্তাবলী কি কি?
উত্তর: যাকাত ফরয হওয়ার শর্তাবলী নিম্নরূপ:
ক) ইসলাম
খ) স্বাধীন
গ) নেসাবের মালিক হওয়া ও তা স্থিতিশীল থাকা।
ঘ) বছর পূর্ণ হওয়া।

জাকাতের গুরুত্ব, ফজিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ

জাকাতের গুরুত্ব, ফজিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ


      জাকাতের গুরুত্ব, ফযিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ

                                        জাকাতের গুরুত্ব, ফযিলত ও ব্যয়ের খাতসমূহ

জাকাত এর সংজ্ঞা:
জাকাত শব্দের অর্থ শুচিতা ও পবিত্রতা, শুদ্ধি ও বৃদ্ধি।
পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শরিয়ত নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ কুরআনে বর্ণিত আট প্রকারের কোন এক প্রকার লোক অথবা প্রত্যেককে দান করে মালিক বানিয়ে দেয়াকে জাকাত বলে।

জাকাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

জাকাত ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে একটি। জাকাত ছাড়া দ্বীন পরিপূর্ণতা লাভ করে না। যারা জাকাত অস্বীকার করে তাদের হত্যা করা হবে। এবং যারা জাকাতের ফরয অস্বীকার করে তাদের কাফের বলে গণ্য করা হবে। এই জাকাত ফরয করা হয় ২য় হিজরীতে। আল্লাহ তা‘আলা কুরআনে কারিমের বহু জায়গায় ইরশাদ করেছেন,
‏(‏وأقيموا الصلاة وآتوا الزكاة واركعوا مع الراكعين‏ ‏‏)البقرة:‏ ৪৩)‏

সদকাতুল ফিতর

সদকাতুল ফিতর

                                                                    
  সদকাতুল ফিতর


                                                         সদকাতুল ফিতর

সম্মানিত ভাইয়েরা আমার! আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের শেষে একটি বিধান দিয়েছেন। অর্থাৎ ঈদের সালাত আদায়ের পূর্বে ‘সদকাতুল ফিতর’ আদায় করা। আজকের মজলিসে এ বিষয়ে কথা বলব। এর বিধান, উপকারীতা, শ্রেণী, পরিমাণ, অপরিহার্যতা, আদায় করার সময় ও স্থান সম্পর্কে আলোচনা করব।

সদকাতুল ফিতরের বিধান

সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা মুসলিমদের উপর আবশ্যক করেছেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা আদেশ করেছেন তা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক আদেশ করার সমতুল্য।
আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন :
﴿مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدۡ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ عَلَيۡهِمۡ حَفِيظٗا ٨٠﴾ [النساء: ٨٠]

যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা

যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা


                         
যাকাতুল ফিতর বা ফিতরা

টাকা-পয়সা নয়; খাদ্য দ্রব্য ফিতরা দেয়া সুন্নাত।
ধান নয়; চাল দিয়ে ফিতরা দেয়া কর্তব্য।

ফিতরা
(একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধ)

এ প্রবন্ধে যে সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে:
১) ভূমিকা
২) ফিতরা কাকে বলে?
৩) ফিতরার হুকুম (বিধান)।
৪) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে কি দ্বারা এবং কি পরিমাণ ফিতরা দেওয়া হত?
৫) ধানের না চালের ফিতরা?
৬) ধান দ্বারা ফিতরা আদায় না হওয়ার ব্যাপারে উপমহাদেশের কয়েকজন বরেণ্য উলামায়ে কেরামের ফতোয়া।
৭) যারা ধান দ্বারা ফিতরা দেয়া জায়েয মনে করেন।
৮) খাদ্য দ্রব্য দ্বারা ফিতরা না দিয়ে টাকা-পয়সা দ্বারা ফিতরা দেওয়া
৯) অর্ধ সা’ র ফিতরা
১০) সা সম্পর্কে দুটি কথা

ফিতরা প্রদানের সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি

ফিতরা প্রদানের সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি

                                                                           
      ফিতরা প্রদানরে সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি

                                                 ফিতরা প্রদানরে সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতি

আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মা বাদঃ
ঈদের নামাযের পূর্বে ফিতরা প্রদান করা যেমন ইসলামের একটি সুন্দর বিধান, তেমন তা সঠিক সময়ে ও সঠিক নিয়মে বণ্টন করাও গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কিন্তু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফিতরা বণ্টনের নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে একটি বহুল প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে: লোকেরা তাদের ফিতরা মসজিদের ইমাম কিংবা গ্রামের সর্দারের কাছে ঈদের নামাযের পূর্বে আর অনেকে নামাযের পরে জমা করে দেয়। ফিতরা দাতারা ধান, গম, চাল এবং অনেকে টাকা দ্বারা ফিতরা দিয়ে থাকেন। অতঃপর ইমাম কিংবা সর্দার সাহেব কিছু দিন পর সেই জমা কৃত ফিতরা বিক্রয় করে দেন। তার পর তিনি সেই মূল্য অর্থাৎ টাকা-পয়সা বিতরণ শুরু করেন। ফিতরা যারা নিতে আসেন তাদের মধ্যে ফকীর-মিসকিন, মাদরাসার ছাত্র এবং ইসলামী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলিও থাকে। এরা অনেকে কাছাকাছি অঞ্চলের হয় আর অনেকে দূরেরও হয়। সাধারণত: এই পদ্ধতিতেই বেশির ভাগ স্থানে ফিতরা বণ্টন করা হয়ে থাক। কোথাও একটু ব্যতিক্রম থাকলে সেটা অবশ্য আলাদা কথা।

প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান


প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান

প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান


প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান

সংকলন ও গ্রন্থনা : মুহা: আবদুল্লাহ্‌ আল কাফী (লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)

(১ম পর্ব)
বিষয়: ঈমান ও আক্বীদা

১. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তার নাম কি?
উত্তরঃ আল্লাহ্‌।
২. প্রশ্নঃ আল্লাহর কতগুলো নাম রয়েছে?
উত্তরঃ আল্লাহ তা’আলার নাম অসংখ্য-অগণিত।
৩. প্রশ্নঃ আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌ কোথায় আছেন?
উত্তরঃ সপ্তাকাশের উপর আরশে আযীমে। (সূরা ত্বহাঃ ৫)

দানশীলতা

দানশীলতা

                                                            
দানশীলতা


মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ۚوَمَآ أَنفَقۡتُم مِّن شَيۡءٖ فَهُوَ يُخۡلِفُهُۥۖ﴾ [سبا: ٣٩]
অর্থাৎ “তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার বিনিময় দেবেন।” (সূরা সাবা’ ৩৯ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ وَمَا تُنفِقُواْ مِنۡ خَيۡرٖ فَلِأَنفُسِكُمۡۚ وَمَا تُنفِقُونَ إِلَّا ٱبۡتِغَآءَ وَجۡهِ ٱللَّهِۚ وَمَا تُنفِقُواْ مِنۡ خَيۡرٖ يُوَفَّ إِلَيۡكُمۡ وَأَنتُمۡ لَا تُظۡلَمُونَ﴾ [البقرة: ٢٧٢]
অর্থাৎ “তোমরা যা কিছু ধন-সম্পদ দান কর, তা নিজেদের উপকারের জন্যই। আল্লাহর সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে তোমরা দান করো না। আর তোমরা যা দান কর, তার পুরস্কার পূর্ণভাবে প্রদান করা হবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।” (সূরা বাক্বারাহ ২৭২ আয়াত)

মহানবীর সর্বশেষ ওসিয়ত: আস-সালাত, আস-সালাত

মহানবীর সর্বশেষ ওসিয়ত: আস-সালাত, আস-সালাত

                                                         
মহানবীর সর্বশেষ ওসিয়ত: আস-সালাত, আস-সালাত


                                     মহানবীর সর্বশেষ ওসিয়ত: আস-সালাত, আস-সালাত

ভূমিকা
حمدالله وصلاة وسلاماعلى سيدنا محمد بن عبد الله.................
হামদ ও সালাতের পর।
ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের মধ্যে কালেমার পরই সালাতের স্থান। কালেমার পর এটি সর্বোত্তম আমল। ইসলামের স্তম্ভসমূহের মধ্যে সবচেয়ে মজবুত স্তম্ভ এটি। সুতরাং সালাত ব্যতীত মুসলমানের ইসলাম পরিপূর্ণ হয় না। কেননা সালাত স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে সেতুবন্ধন। এটি শারীরিক ইবাদাতের মূল। সালাতই সকল উম্মাতের দীন। আসমানী শরীয়াতের কোনটিই সালাতমুক্ত ছিল না। কুরআন, সুন্নাহ ও ইজমার মাধ্যমে এটি ফরজে আঈন। আল্লাহ তা'আলা মিরাজ রজনীতে আসমানে সালাত ফরজ করেছেন। অন্যান্য ইবাদাত এমনটি নয়। অতএব সালাতের মর্যাদা সহজেই অনুমেয়। এটি সকল প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের উপর ফরজ। কোন অবস্থায়ই এটি ছাড়া যাবে না। অন্যান্য রোকনগুলোর ব্যাপারে অবশ্য কিছুটা সহজ করা হয়েছে।[১]

ফতোওয়া সালাত: নামায সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৭০টি প্রশ্নোত্তর

ফতোওয়া সালাত: নামায সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৭০টি প্রশ্নোত্তর

                                                             
ফতোওয়া সালাত: নামায সম্পর্কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ১৭০টি প্রশ্নোত্তর


প্রশ্নঃ (১৮৪) ইসলামে ছালাতের বিধান কি? কার উপর ছালাত ফরয?
উত্তরঃ ছালাত ইসলামের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রুকন; বরং এটা কালেমায়ে শাহাদাতের পর দ্বিতীয় রুকন। এটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের দ্বারা সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটা ইসলামের মূল খুঁটি। যেমনটি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
وَعَمُودُهُ الصَّلَاةُ
“ইসলামের মূল খুঁটি হচ্ছে, ছালাত।”

ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ১ম পর্ব

ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ১ম পর্ব

                                                                    
ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ১ম পর্ব

                                                     ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ১ম পর্ব
সংকলন: ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব


بسم الله الرحمن الرحيم
إِنَّ الْحَمْدَ ِللهِ نَحْمَدُهُ وَنَسْتَعِيْنُهُ مَنْ يَهْدِهِ اللهُ فَلاَ مُضِلَّ لَهُ وَمَنْ يُضْلِلْ فَلاَ هَادِىَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ، أَمَّا بَعْدُ:*

আল্লাহ বলেন,
وَأَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِىْ
‘আর তুমি ছালাত কায়েম কর আমাকে স্মরণ করার জন্য’ (ত্বোয়া-হা ২০/১৪)।
ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)

অনুধাবন করুন

ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ২য় পর্ব

ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ২য় পর্ব

                                                             
   ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ২য় পর্ব


                                              ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) - ২য় পর্ব
সংকলন: ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব


বিভিন্ন ছালাতের পরিচয়

১. বিতর ছালাত (صلاة الوتر)

বিতর ছালাত সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ।[1] যা এশার ফরয ছালাতের পর হ’তে ফজর পর্যন্ত সুন্নাত ও নফল ছালাত সমূহের শেষে আদায় করতে হয়।[2] বিতর ছালাত খুবই ফযীলতপূর্ণ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বাড়ীতে বা সফরে কোন অবস্থায় বিতর ও ফজরের দু’রাক‘আত সুন্নাত পরিত্যাগ করতেন না।[3]

তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা

তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা

ফাত্‌ওয়া নং : 9036

                                                  


                                                       তারাবীহ -এর সালাতের রাক্‌‘আত সংখ্যা

প্রশ্ন : আমি প্রশ্নটি আগেও করেছিলাম। আশা করি এর উত্তর দিয়ে আমাকে উপকৃত করবেন কারণ আমি এর কোনো সন্তোষজনক জবাব পাই নি। প্রশ্নটি হলো তারাবীহ সম্পর্কে, তা কি ১১ রাক্‌‘আত নাকি ২০ রাক্‌‘আত? সুন্নাহ মতে তো তা ১১ রাক্‌‘আত । শাইখ আল-আলবানী –রহিমাহুল্লাহ –“আল-ক্বিয়াম ওয়া আত-তারাউয়ীহ”-বইতে বলেছেন (তা) ১১ রাক্‌‘আত । কেউ কেউ সেই মাসজিদে যায় যেখানে ১১ রাক্‌‘আত সালাত আদায় হয়, আবার অনেকে সেই মাসজিদে যায় যেখানে ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায় হয়। তাই এই মাসআলাটি এখানে যুক্তরাষ্ট্রে সংবেদনশীল হয়ে গেছে। যে ১১ রাক্‌‘আত সালাত আদায় করে সে ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায়কারীকে দোষারোপ করে; আবার এর বিপরীতটিও হয়। তাই (এই ব্যাপারটি নিয়ে) ফিতনাহ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি আল-মাসজিদ আল-হারামেও ২০ রাক্‌‘আত সালাত আদায় করা হয়।
কেন আল-মাসজিদ আল-হারাম ও আল-মাসজিদ আন-নাবাউয়ীতে সুন্নাহ থেকে বিপরীত করা হয়? কেন তারা আল-মাসজিদ আল-হারাম ও আল-মাসজিদ আন-নাবাউয়ী-তে ২০ রাক্‌‘আত তারাউয়ীহ-এর সালাত আদায় করেন?

রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান

রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান

                                                           
   রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান


                                                      রমযানে কিয়ামুল লাইলের বিধান

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি নিজ দয়ায় সামনে অগ্রসরমান পাগুলোকে সাহায্য করেন, আপন করুণায় ধ্বংসপ্রায় জীবনগুলোকে উদ্ধার করেন এবং যাকে তিনি ইচ্ছা করেন তাকে সহজতর পথ জান্নাতের রাস্তাকে সহজ করে দেন, ফলে তাকে আখিরাতের প্রতি আগ্রহী করে তোলেন। আমি তাঁর স্তুতি গাই তাবৎ সুস্বাদ ও বিস্বাদ বিষয়ের জন্য।
আমি সাক্ষ্য প্রদান করি যে একমাত্র তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ নেই; তাঁর কোনো অংশীদার নেই, তিনি সম্মান ও প্রতিপত্তির অধিকারী; প্রতিটি অন্তরই (তাঁর সামনে) লাঞ্ছিত ও দুর্দশাগ্রস্ত। আর আমি আরও সাক্ষ্য দেই যে মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল, তিনি প্রকাশ্যে ও গোপনে আপন রবের নির্দেশ বাস্তবায়ন করেছেন।

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত

তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত


তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত

                                                তাহাজ্জুদ নামায পড়ার ফযীলত

মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهِۦ نَافِلَةٗ لَّكَ عَسَىٰٓ أَن يَبۡعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامٗا مَّحۡمُودٗا ٧٩ ﴾ (الاسراء: ٧٩)
অর্থাৎ রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম কর; এটা তোমার জন্য এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায়, তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে। (সূরা বানী ইসরাইল ৭৯ আয়াত)
তিনি আরও বলেছেন,
﴿ تَتَجَافَىٰ جُنُوبُهُمۡ عَنِ ٱلۡمَضَاجِعِ يَدۡعُونَ رَبَّهُمۡ خَوۡفٗا وَطَمَعٗا وَمِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُونَ ١٦ ﴾ (السجدة: ١٦)
অর্থাৎ তারা শয্যা ত্যাগ করে আকাঙ্ক্ষা ও আশংকার সাথে তাদের প্রতিপালককে ডাকে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী প্রদান করেছি, তা হতে তারা দান করে। (সূরা সেজদা ১৬ আয়াত)

কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান

কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান

কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান

কসর ও জমা করে সালাত আদায় সম্পর্কে কিছু বিধান

ভূমিকা
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর প্রশংসা ও নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দুরূদ পাঠের পর আজকের আলোচনা শুরু করছি।
ইবাদতের ব্যাপারে একটি মৌলিক নীতি হচ্ছে, প্রতিটি ইবাদতের জন্য শরী‘আতপ্রবর্তক আল্লাহ তা‘আলা একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন যা সে সময়েই আদায় করতে হয়, যদি না সেটাকে তার সময় থেকে বিশেষ আবশ্যকতা বা প্রয়োজনের কারণে বের করে অন্য সময়ে করার ব্যাপারে দলীল-প্রমাণাদি পাওয়া যায়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿ ٱلَّذِينَ هُمۡ عَن صَلَاتِهِمۡ سَاهُونَ ٥ ﴾ [الماعون: ٥]
“যারা তাদের সালাত সম্পর্কে বেখবর” [সূরা আল-মা‘উন, ৫]

জুম‘আর নামায

জুম‘আর নামায


                                                        
জুম‘আর নামায

                                                জুম‘আর নামায

জুমআর নামায প্রত্যেক সাবালক জ্ঞান-সম্পন্ন পুরুষের জন্য জামাআত সহকারে ফরয।
মহান আল্লাহ বলেন,
(يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِذَا نُوْدِيَ لِلصَّلاَةِ مِنْ يَّوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ، ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُوْنَ)
অর্থাৎ, হে ঈমানদারগণ! যখন জুমআর দিন নামাযের জন্য আহবান করা হবে, তখন তোমরা সত্বর আল্লাহর স্মরণের জন্য উপস্থিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় বর্জন কর। এটিই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা উপলব্ধি কর। (কুরআন মাজীদ ৬২/৯)

বিত্‌র নামায

বিত্‌র নামায

বিত্‌র নামায


বিত্‌র নামায

বিত্‌র নামায সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। এ নামায আদায় করতে মহানবী (সাঃ) উম্মতকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করতেন। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, ‘বিত্‌র ফরয নামাযের মত অবশ্যপালনীয় নয়; তবে আল্লাহর রসূল (সাঃ) তাকে সুন্নতের রুপদান করেছেন; তিনি বলেছেন, “অবশ্যই আল্লাহ বিত্‌র (জোড়হীন), তিনি বিত্‌র (জোড়শূন্যতা বা বেজোড়) পছন্দ করেন। সুতরাং তোমরা বিত্‌র (বিজোড়) নামায পড়, হে আহলে কুরআন!” (আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ, সহিহ তারগিব ৫৮৮নং)

চেয়ারে বসে সালাত আদায়: বিধি-বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল

চেয়ারে বসে সালাত আদায়: বিধি-বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল

                                                    
 চেয়ারে বসে সালাত আদায়: বিধি-বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল

চেয়ারে বসে সালাত আদায়: বিধি-বিধান, সতর্কীকরণ ও মাসলা-মাসায়েল

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহূ
বসে সালাত করতে গিয়ে অনেকেই ভুল করে থাকে। কারণ অনেকেই এর বিবিধ অবস্থা ও চেয়ারে বসে সালাত আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত নয়। তাই নিম্নে তার কিছু বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে।

যে ব্যক্তি কোন খতীবকে বিভ্রান্তির দিকে অথবা বিদআতের দিকে আহ্বান করতে শুনে সে কি করবে

যে ব্যক্তি কোন খতীবকে বিভ্রান্তির দিকে অথবা বিদআতের দিকে আহ্বান করতে শুনে সে কি করবে

যে ব্যক্তি কোন খতীবকে বিভ্রান্তির দিকে অথবা বিদআতের দিকে আহ্বান করতে শুনে সে কি করবে



যে ব্যক্তি কোন খতীবকে বিভ্রান্তির দিকে অথবা বিদআতের দিকে আহ্বান করতে শুনে সে কি করবে

প্রশ্ন: আমাদের স্থানীয় ইমাম মানুষকে কতিপয় বিদআতের দিকে আহ্বান করেন। কিছু দ্বীনদার ভাই দলিল-প্রমাণসহ এ ব্যাপারে তাঁকে সাবধান করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি এ বিদআতগুলোর পক্ষে অটল অবস্থানে রয়েছেন। যদি জানা যায় যে, আজকের খোতবায় খতীবসাহেব বিদআতের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করবেন যেমন- মিলাদ, শবে বরাত, ইত্যাদি সেক্ষেত্রে আপনারা কি এ পরামর্শ দিবেন যে, সে ব্যক্তি জুমার খোতবা শুনতে যাবে না। কেউ যদি মসজিদে গিয়ে শুনতে পায় যে, খতীবসাহেব বিদআতের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছেন তখন সে ব্যক্তির করণীয় কী? সে কী খোতবার মাঝখানে উঠে বাড়ীতে এসে যোহরের নামায আদায় করবে? অন্যথায় সে কী করবে? এ ধরণের খোতবা শুনায় হাজির থাকলে ব্যক্তি কি গুনাহগার হবে? কারণ কিছু ভাই নসিহত করার পরও খতীবসাহেব তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির উপর অটল অবস্থানে রয়েছেন। কেউ যদি খোতবার মধ্যে দুর্বল ও বানোয়াট হাদিস উল্লেখ করে তার ক্ষেত্রেও কি একই হুকুম প্রযোজ্য? আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন।

ইমাম ও ইমামতি

ইমাম ও ইমামতি 

                                                                  
    ইমাম ও ইমামতি
                                       

                                                                 ইমাম ও ইমামতি

আল্ হাল হামদুলিল্লাহ, ওয়াস্ সালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিল্লাহ্, আম্মা বাদ:
ইমাম ও ইমামতি ইসলাম ধর্মের এবং মুসলিম সমাজের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুল প্রয়োজনীয় বিষয়। একটি দেশ থেকে নিয়ে একটি গ্রাম পর্যন্ত এমনকি একটি পরিবারেও এই পদের প্রয়োজনীয়তা লক্ষণীয়। তাই এই বিষয়টির সম্পর্কে আমাদের সমাজের প্রত্যেক ইমামকে বিশেষ ভাবে এবং অন্যান্য মুসলিমদের সাধারণ ভাবে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। উক্ত কারণে বিষয়টির অবতারণা। আল্লাহ যেন সঠিক লেখার এবং তার প্রতি আমল করার তাওফিক দান করুন । আমিন

জুমু‘আর দিনের বিধান

জুমু‘আর দিনের বিধান

জুমু‘আর দিনের বিধান


জুমু‘আর দিনের বিধান

ভূমিকা

জুমু‘আর দিন একটি বরকত পূর্ণ দিন। আল্লাহ তা‘আলা এ দিনটিকে সমস্ত দিনের উপর ফযিলত দিয়েছেন এবং উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য এ দিনটিকে নেয়ামত স্বরূপ নির্বাচন করেছেন। ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের এ দিবসটি থেকে আল্লাহ তা‘আলা দূরে সরিয়ে রেখেছেন। ফলে তারা এ দিবসটি সম্পর্কে ভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। শনিবার ও রবিবারের তুলনায় জুমু’আর দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ দিনে আল্লাহ তা‘আলা অসংখ্য ঘটনা রাজির জন্ম দিয়েছেন এবং পৃথিবীতে অনেক কিছুই এ দিবসটিতে সংঘটিত হয়েছে। অত:পর আল্লাহ তা‘আলা আমাদের-উম্মতে মুহাম্মদী-কে পাঠান এবং আমাদেরকে জুমু’আর দিনের প্রতি পথ দেখান।
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু ও হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু উভয় সাহাবী হতে বর্ণিত, তারা বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«أضل الله عز وجل عن الجمعة من كان قبلنا؛ فكان لليهود يوم السبت، وكان للنصارى يوم الأحد، فجاء الله عز وجل بنا فهدانا ليوم الجمعة، فجعل الجمعة والسبت والأحد، وكذلك هُم لنا تبع يوم القيامة، ونحن الآخِرون من أهل الدنيا، والأولون يوم القيامة، المقضي لهم قبل الخلائق» [رواه مسلم، والنسائي، ابن ماجة].
“আল্লাহ তা‘আলা আমাদের পূর্ববর্তীদেরকে জুমু‘আ থেকে বঞ্চিত করেন। ইয়াহুদীদের জন্য শনিবার এবং খৃষ্টানদের জন্য রবিবারকে নির্ধারণ করেন। অত:পর আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে পাঠান এবং আমাদেরকে জুমু‘আর দিবসটির প্রতি পথ দেখান। জুমু‘আর পর শনিবার এবং তারপর রবিবার নির্ধারণ করেন। যেভাবে দিবসের দিক দিয়ে তারা আমাদের পিছনে আছে, কিয়ামতের দিনও তারা আমাদের পিছনে থাকবে। দুনিয়াতে আমাদের আগমন পরে হলেও কিয়ামতের দিন আমরাই প্রথম হব। সমস্ত মাখলুকের পূর্বে আমাদের ফায়সালা করা হবে”।[1]

ফরয নামাযের সালাম শেষে প্রথমে ১ বার আল্লাহু আকবার, না ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ?

ফরয নামাযের সালাম শেষে প্রথমে ১ বার আল্লাহু আকবার, না ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ?


                 
ফরয নামাযের সালাম শেষে প্রথমে ১ বার আল্লাহু আকবার, না ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ?
ফরয নামাযের সালাম শেষে প্রথমে ১ বার আল্লাহু আকবার, না ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ?

১-বিষয়টি অবতারণার কারণঃ
আমরা জানি, আমাদের সমাজে নামায শিক্ষার সময় সাধারণতঃ এই শিক্ষা নেওয়া হয় বা দেওয়া হয় যে, ফরয স্বালাতে সালাম ফিরানোর পর প্রথমে এক বার সশব্দে আল্লাহু আকবার বলতে হবে অতঃপর নিরবে তিন বার আস্তাগফিরুল্লাহ এবং আমাদের আহলুল হাদীস সমাজের বিভিন্ন মসজিদে মুস্বল্লীগণকে জোর শব্দে এই আমলটি করতেও দেখা যায়। এছাড়া সালাফী আলেমগণের প্রচলিত প্রসিদ্ধ বাংলা স্বালাত শিক্ষার বই-পুস্তকেও এই মাসআলা দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্য হলাম, যখন সউদী আরবের সমাজে মুস্বল্লীদের নামাযান্তে ১বার উচ্চ কন্ঠে আল্লাহু আকবার বলতে শুনলাম না; অথচ এখানে সালাম শেষে উচ্চ স্বরে কিছুক্ষণ যিকর ও দুআ পড়ার প্রচলন রয়েছে। আর না এখানকার বিজ্ঞ উলামাদের বই-পুস্তকে এবং ফতোয়ায় এই বিধানটি লক্ষ্য করলাম। আরো আশ্চর্য হলাম যখন প্রসিদ্ধ চার মাযহাবের ফিকহের বই পুস্তকেও সালাম শেষে এক বার জোর শব্দে আল্লাহু আকবার বলতে হবে বলে কোনো বিধান অবলোকন করলাম না; বরং তারা সকলে প্রথমে ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ বলার কথা উল্লেখ করেছেন, যা লেখার শেষ পয়েন্টে দেখা যেতে পারে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে বহু পূর্বে মনে কৌতুহল জেগেছিল। সাম্প্রতি সাধ্যানুযায়ী এ সম্বন্ধে দলীল-প্রমাণগুলির সাধারণ অধ্যয়ন করার চেষ্টা করলাম। অবশেষে যা অবগত হলাম, তা আপনাদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরা ভাল মনে করছি। ওয়াল্লাহু হুআল্ মুআফ্ফিক্ ওয়াল্ মুস্তাআন। বক্ষ্যমাণ লেখাটির মূল বিষয় হল, সালাম ফিরানোর পর সর্ব প্রথম কি বলতে হবে এবং কত বার বলতে হবে?

নামায নষ্ট করলে সিয়াম কবুল হয় না

নামায নষ্ট করলে সিয়াম কবুল হয় না

                                                                                
  নামায নষ্ট করলে সিয়াম কবুল হয় না


                                                                   নামায নষ্ট করলে সিয়াম কবুল হয় না

প্রশ্ন: নামায না পড়ে সিয়াম পালন করা কি জায়েয?

উত্তর:
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

বে-নামাযীর যাকাত, রোজা, হজ্জ ইত্যাদি কোনো আমলই কবুল হয় না।

ইমাম বুখারী (৫২০) বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
( مَنْ تَرَكَ صَلاةَ الْعَصْرِ فَقَدْ حَبِطَ عَمَلُهُ )
“যে ব্যক্তি আসরের নামায ত্যাগ করে তার আমল নিষ্ফল হয়ে যায়।”

Thursday, July 30, 2015

স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর

স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর

                                                                      
স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর
  
                                                           স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্ন-উত্তর

নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য; আমরা তাঁর প্রশংসা করি, তাঁর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি এবং তাঁর নিকট তাওবা করি; আর আমাদের নফসের জন্য ক্ষতিকর এমন সকল খারাপি এবং আমাদের সকল প্রকার মন্দ আমল থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই। আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল।

স্বামী-স্ত্রী লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

হাদীসের আলোকে আদর্শ স্বামী

                                                                           
হাদীসের আলোকে আদর্শ স্বামী

                                                           হাদীসের আলোকে আদর্শ স্বামী

আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَمِنۡ ءَايَٰتِهِۦٓ أَنۡ خَلَقَ لَكُم مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ أَزۡوَٰجٗا لِّتَسۡكُنُوٓاْ إِلَيۡهَا وَجَعَلَ بَيۡنَكُم مَّوَدَّةٗ وَرَحۡمَةًۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّقَوۡمٖ يَتَفَكَّرُونَ ٢١ ﴾ [الروم: ٢١]
“আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে”। [সূরা : আর্-রূম: ২১]

Wednesday, July 29, 2015

হজ্জ ও উমরাহ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল

                                               
যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল

                                             যিলহজের প্রথম দশক : ফযীলত ও আমল
আল্লাহ তা‘আলা দয়ালু। তাই তিনি আপন বান্দাদের তওবার সুযোগ দিতে ভালোবাসেন। তিনি চান বান্দারা ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ করুক। এ উদ্দেশ্যে তিনি আমাদের জন্য বছরে কিছু বরকতময় ও কল্যাণবাহী দিন রেখেছেন- যাতে আমলের সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়। আমরা পরীক্ষার দিনগুলোতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাই সবচে ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য। তবে কেন আখেরাতের জন্য এসব পরীক্ষার দিনগুলোতেও সর্বাধিক প্রচেষ্টা ব্যয় করব না? এ দিনগুলোতে আমল করা তো বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি নেকী ও কল্যাণ বয়ে আনে। এমন দিনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যিলহজ মাসের এই প্রথম দশদিন। এ দিনগুলো এমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেগুলোকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাতে আমলের প্রতি তিনি সবিশেষ উদ্বুদ্ধ করেছেন। এ দিনগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে শুধু এতটুকুই যথেষ্ট যে আল্লাহ তা‘আলা এর কসম করেছেন

বৃস্তারিত পড়ুন

হাদীস শিক্ষা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷

                                    সহিহ হাদিসে কুদসি (১ম পর্ব)

                                                              
 সহিহ হাদিসে কুদসি (১ম পর্ব)

                                               (সহিহ হাদিসে কুদসি (১ম পর্ব

সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য এবং দরূদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল, তার পরিবারবর্গ, তার সাথী ও তার সকল অনুসারীদের ওপর। অতঃপর,
“সহিহ হাদিসে কুদসি” গ্রন্থটি আমার নিকট বিশুদ্ধ প্রমাণিত হাদিসে কুদসির বিশেষ সংকলন। এখানে আমি সনদ ও ব্যাখ্যা ছাড়া হাদিসে কুদসিগুলো উপস্থাপন করেছি। হাদিসগুলো সূত্রসহ উল্লেখ করে হুকুম ও শব্দের জরুরী অর্থ বর্ণনা করে ক্ষান্ত হয়েছি। আল্লাহ আমার এ আমল কবুল করুন এবং এর দ্বারা সকল মুসলিমকে উপকৃত করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব হাদিস আল্লাহর সাথে সম্পৃক্ত করে বর্ণনা করেছেন আলেমগণ সেগুলোকে “হাদিসে কুদসি” নামে অভিহিত করেছেন। আল্লাহর নাম “কুদ্দুস” এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করে এসব হাদিসকে ‘কুদসি’ বলা হয়। (“কুদ্দুস” অর্থ পবিত্র ও পুণ্যবান।)

কুরআন তিলাওয়াত : ফযীলত ও আদব

                                                 কুরআন তিলাওয়াত : ফযীলত ও আদব

                                                                   
কুরআন তিলাওয়াত : ফযীলত ও আদব


                                                           কুরআন তিলাওয়াত : ফযীলত ও আদব

                                                           কুরআন তিলাওয়াতের ফযীলত

আজ আমরা এমন বিষয়ে আলোচনা করব যা আমাদের কল্যাণের গ্যারান্টি দেয়। যা আমাদেরকে রক্ষা করে যাবতীয় ফিতনা থেকে। এতে আছে অতীত-ভবিষ্যতের সংবাদ আর বর্তমানের জীবন-দিশা। এ কোনো হেলাখেলার বিষয় নয়; চূড়ান্ত ও অলঙ্ঘনীয় বিধান। ঔদ্ধত্য দেখিয়ে যে একে পরিহার করবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ধ্বংস করে দেবেন। যে এ ছাড়া অন্য কোথাও জীবনের পাথেয় খুঁজবে আল্লাহ তাকে পথভ্রষ্ট করবেন। এটি আল্লাহর সুদৃঢ় রজ্জু। আল্লাহ তা‘আলার প্রজ্ঞাময় আলোচনা। এটি সরল পথ। এটি থাকলে প্রবৃত্তি মানুষকে সুপথহারা করতে পারে না। এর শব্দোচ্চারণে কারও কষ্ট অনুভূত হয় না। আলিমরা কখনো এর তিলাওয়াত থেকে পরিতুষ্ট হন না। এটি পুরাতন হলেও বাতিল হয় না। এর বিস্ময় ও অলৌকিত্ব কখনো ফুরায় না। যে এ থেকে বলে সে সত্যবাদী। যে এর নির্দেশনা মতো চলে সে প্রতিদান প্রাপ্ত হয়। যে একে দিয়ে বিচার করে সে ইনসাফ করে। যে এর দিকে আহ্বান জানায় সে সুপথের দিকেই ডাকে।
হ্যা, আমি বলছি পবিত্র কুরআনের কথা। আল্লাহ তা‘আলার মহা প্রজ্ঞাময় বাণীর কথা। আমাদের কর্তব্য এ কুরআন শিক্ষা করা। নিয়মিত এর তিলাওয়াত করা। এ কুরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করা। আমাদের দায়িত্ব নিজ সন্তানদের কুরআন শিক্ষা দেয়া এবং তাদেরকে এর তিলাওয়াত ও ভালোবাসায় অভ্যস্ত হিসেবে গড়ে তোলা। যাতে এর সাথে তাদের হৃদ্যিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং এর সঙ্গে তাদের মনোসংযোগ ঘটে। এতে করে তাদের চরিত্র হবে পবিত্র ও অপঙ্কিল। তাদের আত্মা ও হৃদয় হবে পরিশুদ্ধ। তারা হবে কুরআনের ধারক ও বাহক। কারণ, একটি শিশু যখন কুরআনের শিক্ষার মধ্য দিয়ে বড় হয়, সে জানতে পারে নামাজে কী পড়ছে। আর শিশুকালে কুরআনের হাফেয হওয়া বড় হয়ে হাফেয হওয়ার চেয়ে উত্তম। এতে করে তার স্মরণও থাকে ভালো। সে কখনো এ কুরআন ভুলে না। কারণ, শৈশবে কুরআন শিক্ষা করলে তা তার হৃদয়ে শিলালিপির মতো অঙ্কিত হয়ে যায়।
আমাদের উচিত, আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করা এবং কুরআনের প্রতি গুরুত্ব দেয়া। আল্লাহ তা‘আলা কালামে মাজিদে ইরশাদ করেন,
إِنَّ الَّذِينَ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَأَنْفَقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً يَرْجُونَ تِجَارَةً لَنْ تَبُورَ (29) لِيُوَفِّيَهُمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدَهُمْ مِنْ فَضْلِهِ إِنَّهُ غَفُورٌ شَكُورٌ (30)
‘নিশ্চয় যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়ন করে, সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিযক দিয়েছেন তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে যা কখনো ধ্বংস হবে না। যাতে তিনি তাদেরকে তাদের পূর্ণ প্রতিফল দান করেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে আরো বাড়িয়ে দেন। নিশ্চয় তিনি অতি মাশীল, মহাগুণগ্রাহী।’[1]

আমরা কিভাবে কুরআন বুঝব?

                            আমরা কিভাবে কুরআন  বুঝব?            


   আমরা কিভাবে কুরআন বুঝব?
                          আমরা কিভাবে কুরআন বুঝব
?

                                                                                    
ভূমিকা :
আল-কুরআনুল কারীম মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত সর্বশ্রেষ্ঠ ও চিরন্তন মু‘জিযা, বিশ্ব মানবতার মুক্তিসনদ। এতে রয়েছে মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট হিদায়াত ও দিক-নির্দেশনা, রয়েছে আলোকবর্তিকা, উপদেশ, রহমত ও অন্তরের যাবতীয় ব্যাধির উপশম। আল্লাহ সুবহানাহু বলেন,
﴿يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدىً وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ (57) قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ﴾
‘‘হে মানুষ! তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে এসেছে উপদেশ এবং অন্তরসমূহে যা থাকে তার শিফা, আর মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমাত। বল, ‘আল্লাহর অনুগ্রহে ও রহমাতে’। সুতরাং এ নিয়েই যেন তারা খুশী হয়। এটি যা তারা জমা করে তার চেয়ে উত্তম।’’[1]

কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত

                             কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত

                                                   
 কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত

                                                            কুরআন তিলাওয়াতের ফজিলত

আল্লাহ তাআলা বলেন :
إِنَّ الَّذِينَ يَتْلُونَ كِتَابَ اللَّهِ وَأَقَامُوا الصَّلاةَ وَأَنْفَقُوا مِمَّا رَزَقْنَاهُمْ سِرّاً وَعَلانِيَةً يَرْجُونَ تِجَارَةً لَنْ تَبُورَ، لِيُوَفِّيَهُمْ أُجُورَهُمْ وَيَزِيدَهُمْ مِنْ فَضْلِهِ إِنَّهُ غَفُورٌ شَكُورٌ (فاطر:২৯-৩০)
“যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, সালাত কায়েম করে, আমার দেয়া রিজিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে এমন ব্যবসার যা কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরো অধিক দান করবেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।”[১]

কুরআন তিলাওয়াত দু’প্রকার। যথা :
১. তিলাওয়াতে লাফজি বা আক্ষরিক পাঠ
২. তিলাওয়াতে হুকমি বা কার্যকর পাঠ।

প্রথম প্রকার তিলাওয়াত : তিলাওয়াতে লাফজি

তিলাওয়াতে লাফজি, অর্থাৎ কুরআনের অক্ষর ও শব্দ পাঠ করা। এ তিলাওয়াতের ফজিলত সম্পর্কে ওসমান রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
(خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ)
“তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি যিনি কুরআন মজিদ শিক্ষা করে ও অন্যকে শিক্ষা দেয়।”[২]

উম্মুল মোমেনিন আয়েশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহু আনহার সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
)الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَالَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَيَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ- أحدهما على التلاوة والثاني على مشقتها على القاري(
“আল কুরআনে দক্ষ ও পণ্ডিত ব্যক্তি সম্মানিত পুণ্যবান ফেরেশতাদের সাথে থাকবে। যে ব্যক্তি কুরআন আটকে আটকে তিলাওয়াত করে এবং তা তার জন্য কষ্টকর হয়, তার জন্য দু’টি প্রতিদান রয়েছে। প্রথমটি, তিলাওয়াতের প্রতিদান, দ্বিতীয়টি কষ্টের প্রতিদান।”[৩]

কুরআনুল কারিমের ছেড়া ও পুরনো পৃষ্ঠা পোড়ানোর বিধান

      কুরআনুল কারিমের ছেঁড়া ও পুরনো পৃষ্ঠা পোড়ানোর বিধান

                                                 
কুরআনুল কারিমের ছেড়া ও পুরনো পৃষ্ঠা পোড়ানোর বিধান

                                          কুরআনুল কারিমের ছেড়া ও পুরনো পৃষ্ঠা পোড়ানোর বিধান

কুরআনুল কারিম আল্লাহ তা‘আলার কালাম, যা তিনি জিবরিল ‘আলাইহিস সালামের মাধ্যমে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর নাযিল করেছেন। অতএব যে আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসের উপর ইমান রাখে, তার উপর কুরআনুল কারিমের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও অপমানের স্থান থেকে তা রক্ষা করা অবশ্য কর্তব্য। কোনো মুসহাফ/ কুরআন যদি পুরনো হয়, ছিড়ে যায় ও তার পৃষ্ঠাগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়, তাহলে এমন জায়গায় রাখা যাবে না, যেখানে অপমানের সম্মুখীন হয়, ময়লা-আবর্জনায় পতিত হয়, মানুষ বা জীব-জন্তু দ্বারা পিষ্ট হয়।
পুরনো কুরআন যদি বাঁধাই করে পাঠ উপযোগী করা সম্ভব হয়, তাহলে পরিত্যক্ত না রেখে ব্যবহার করাই শ্রেয়। অনুরূপ প্রকাশক বা কারো অবহেলা ও ভুলের কারণে কুরআনুল কারিম যদি ভুল ছাপা হয়, আর সংশোধন করা সম্ভব হয়, তাহলে সংশোধন করে পাঠ উপযোগী করা জরুরি।
পুরনো বা ভুলছাপার কুরআন যদি পাঠ উপযোগী করা সম্ভব না হয়, তাহলে অসম্মান ও বিকৃতি থেকে সুরক্ষার জন্য মুসহাফগুলো পোড়ানো কিংবা নিরাপদ স্থানে দাফন করা জরুরি।
শায়খ সালেহ আল-ফাওযান বলেন: “পোড়ানো ও দাফন করা উভয় পদ্ধতি সাহাবিদের থেকে প্রমাণিত”।[1]

অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার বিধান ।

                 অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার বিধান ।

                                                                



                                           অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার বিধান

অধিকাংশ আলেমের মতে অযু ব্যতীত মুসহাফ/ কুরআনুল কারিম স্পর্শ করা বৈধ নয়। ইমাম আবু হানিফা[1], মালিক[2], শাফেয়ী[3], আহমদ ইবনে হাম্বল[4] ও শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়াহ[5] প্রমুখগণ এ মত পোষণ করেছেন। সাহাবিদের ফতোয়াও তাই ছিল। দলিল হিসেবে তারা পেশ বলেন:

১. ইয়ামানের গভর্নর আমর ইবনে হাযম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম লিখে পাঠান:
«أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ».
“পবিত্র সত্তা ব্যতীত কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না”।[6]

‘সাদাকাল্লাহুল আজিম’ বলার বিধান

                       ‘সাদাকাল্লাহুল আজিম’ বলার বিধান ।

                                                                     

                                                     ‘সাদাকাল্লাহুল আজিম’ বলার বিধান

কতিপয় কারি কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত শেষে صَدَقَ اللهُ الْعَظِيْمُ বলেন।[1] এরূপ বলার কোনো ভিত্তি নেই। এতে সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ তা‘আলা সত্যবাদী, তার কালাম চিরসত্য। ইমাম নাসাঈ রাহিমাহুল্লাহ বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন:
((إِنَّ أَصْدَقَ الْحَدِيثِ كِتَابُ اللَّهِ، وَأَحْسَنَ الْهَدْيِ هَدْيُ مُحَمَّدٍ».
“নিশ্চয় সবচেয়ে সত্যকথা হচ্ছে আল্লাহ তা‘আলার কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মদের আদর্শ”।[2]
তিলাওয়াতের সাথে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উক্ত কথার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার বিধান

অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার বিধান ।

অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার বিধান

 

প্রথম ফতোয়া

অযু ব্যতীত কুরআনুল কারিম স্পর্শ করার বিধান
শায়খ আব্দুল্লাহ বিন বায রাহিমাহুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: অযু ব্যতীত মুসহাফ স্পর্শ করা অথবা একস্থান থেকে অপর স্থানে নেওয়ার বিধান কি? এবং অযু ব্যতীত কুরআন তিলাওয়াত করার বিধান কি?

তিনি উত্তরে বলেন: “জমহুর (অধিকাংশ) আহলে ইলমের নিকট অযু ব্যতীত মুসহাফ স্পর্শ করা জায়েয নয়। চার ইমামের ফতোয়া এটাই। নবী সাল্লাল্লাহু ‘‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ এ ফতোয়া প্রদান করতেন। আমর ইবনে হাযম রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত একটি সহি হাদিসে এসেছে, যা গ্রহণ করতে কোনো সমস্যা নেই। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়ামান বাসীদের নিকট লিখে পাঠান:
((أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ)).
“পবিত্র সত্তা ব্যতীত কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না”। সনদের বিচারে হাদিসটি জায়্যিদ। এ হাদিসের একাধিক সনদ রয়েছে, যার একটি অপরটি দ্বারা শক্তিশালী হয়।

কুরআনুল কারিমের কসম করার বিধান

কুরআনুল কারিমের কসম করার বিধান ।


কুরআনুল কারিমের কসম করার বিধান

কারো নামে কসম করার অর্থ তাকে সম্মান দেওয়া ও তার সত্তাকে পবিত্র জ্ঞান করা। এ জাতীয় সম্মানের হকদার একমাত্র আল্লাহ ‘তাআলা। যে আল্লাহ ‘তাআলা ব্যতীত কোনো সত্তার নামে কসম বা শপথ করল সে মূলত আল্লাহর সম্মান ও অধিকারে ঐ সত্তাকে শরিক ও অংশীদার করল। অতএব এটা শিরক। আল্লাহর নামে মিথ্যা কসম করা কবিরা গুনাহ, তবে তা শিরক নয়। শিরক কবিরা গুনা থেকেও বড়, হোক সেটা ছোট শিরক। যে পীরের নামে কসম করল, সে পীরকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করল; যে নবী-অলি-বুজর্গের নামে কসম করল সে তাদেরকে আল্লাহর সমকক্ষ নির্ধারণ করল; অনুরূপ আল্লাহ ও তার গুণাগুণ ব্যতীত কোনো বস্তুর নামে যে কসম করল, সে আল্লাহর অধিকার তথা বিশেষ সম্মানে ঐ বস্তুকে শরিক করল। ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
((مَنْ حَلَفَ بِغَيْرِ اللَّهِ فَقَدْ كَفَرَ أَوْ أَشْرَكَ)). وقال ابن مسعود رضي الله عنه: ((لأَنْ أَحْلِفَ بِاللَّهِ كَاذِبًا أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَحْلِفَ بِغَيْرِهِ صَادِقًا)).
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত কারো নামে শপথ করল সে কুফরি করল, অথবা শিরক করল”।[1]

VIDEO - Lectures by Dr. Zakir Naik (Bangla Dubbing)

VIDEO - Lectures by Dr. Zakir Naik (Bangla Dubbing) - Free Downloa

VIDEO - Lectures by Dr. Zakir Naik (Bangla Dubbing) - Free Download

গুপ্ত অভ্যাস (হস্তমৈথুন) ব্যবহার করা বৈধ কি?

গুপ্ত অভ্যাস (হস্তমৈথুন) ব্যবহার করা বৈধ কি?

গুপ্ত অভ্যাস (হস্তমৈথুন) ব্যবহার করা বৈধ কি?


গুপ্ত অভ্যাস (হস্তমৈথুন) ব্যবহার করা বৈধ কি?

প্রশ্নঃ গুপ্ত অভ্যাস (হস্তমৈথুন) ব্যবহার করা বৈধ কি?

উত্তরঃ

গুপ্ত অভ্যাস (হাত বা অন্য কিছুর মাধ্যমে বীর্যপাত, স্বমৈথুন বা হস্ত মৈথুন) করা কিতাব, সুন্নাহ ও সুস্থ বিবেকের নির্দেশ মতে হারাম।

কিতাব বা কুরআনের দলীল:

আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে নিজেদের পত্নি অথবা অধিকারভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে অন্যথা করলে তারা নিন্দনীয় হবে না। আর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।” (সূরা মু’মিনূন ৫-৭)

সুতরাং যে ব্যক্তি তার স্ত্রী ও অধিকারভুক্ত দাসী (অধিকারভুক্ত দাসী বলতে ক্রীতদাসী ও কাফের যুদ্ধবন্দিনীকে বুঝানো হয়েছে। এখানে কাজের মেয়ে, দাসী, খাদেম বা চাকরানী উদ্দেশ্য নয়।) ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা কামলালসা চরিতার্থ করতে চায়, সে ব্যক্তি “এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে।” বলা বাহুল্য, এই আয়াতের পরিপেক্ষিতে সে সীমালঙ্ঘঙ্কারী বলে বিবেচিত হবে।

স্ত্রীর ঋতুকালীন স্বামী ধৈর্যধারণ করতে পারে না।

স্ত্রীর ঋতুকালীন স্বামী ধৈর্যধারণ করতে পারে না।

স্ত্রীর ঋতুকালীন স্বামী ধৈর্যধারণ করতে পারে না।

স্ত্রীর ঋতুকালীন স্বামী ধৈর্যধারণ করতে পারে না।

প্রশ্ন: জনৈক স্ত্রীর মাসিক ঋতু সাতদিন স্থায়ী থাকে, স্বামী এ-সময় ধৈর্যধারণ করতে পারে না, যেহেতু তার যৌন চাহিদা প্রবল, তাই এ-সমস্যার সমাধানে কী করা উচিত?

প্রচলিত বিভিন্ন খতম: তাৎপর্য ও পর্যালোচনা (১ম পর্ব)

প্রচলিত বিভিন্ন খতম: তাৎপর্য ও পর্যালোচনা (১ম পর্ব)

 
 প্রচলিত বিভিন্ন খতম: তাৎপর্য ও পর্যালোচনা (১ম পর্ব)

প্রচলিত বিভিন্ন খতম: তাৎপর্য ও পর্যালোচনা (১ম পর্ব)

সূচিপত্র

বিষয়
ভূমিকা
সুন্নাতের পরিচয় ও গুরুত্ব
সুন্নাতের পরিচয়
সুন্নাতের উপর অবিচল থাকার গুরুত্ব
বিদআতের পরিচয় ও পরিণাম:
বিদআতের সংজ্ঞা
বিদআতের পরিণাম
খতম শব্দের অর্থ ও প্রয়োগ
খতমে কুরআন
খতমে ইউনুস
খতমে বুখারী
খতমে না-রী
খতমে ইয়াসিন
খতমে শিফা
খতমে তাহলিল
খতমে তাসমিয়াহ
খতমে খাজেগান
খতমে জালালী
খতমে দুরুদে মাহি
ইখলাস দ্বারা কুরআন খতম
অভিজ্ঞতা বনাম ধর্মীয় বিশ্বাস
পরিশেষ
গ্রন্থপঞ্জি তালিকা


প্রচলিত বিভিন্ন খতম: তাৎপর্য ও পর্যালোচনা

পর্নোগ্রাফী দেখলে মস্তিষ্ক যেভাবে বদলে যায়

পর্নোগ্রাফী দেখলে মস্তিষ্ক যেভাবে বদলে যায়

পর্নোগ্রাফী দেখলে মস্তিষ্ক যেভাবে বদলে যায়


পর্নোগ্রাফী দেখলে মস্তিষ্ক যেভাবে বদলে যায়

স্নায়ুবিজ্ঞান (Neuroscience) এখন স্বীকার করে যে, মানুষের মস্তিষ্ক অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন। অর্থাৎ, অভিজ্ঞতা লাভের মধ্যদিয়ে মস্তিষ্কে পরিবর্তন ঘটে এবং আমরা যা দেখি, শুনি বা জানি, তার সবকিছুর সাথেই মস্তিষ্কের সংযোগ গড়ে ওঠে। দর্শন ক্লাসের আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে নতুন কোনো শহরের পথঘাট চেনা, এমনকি আপাতদৃষ্টিতে নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থেকে কোনো গান শোনা কিংবা টিভি দেখা — আমাদের প্রতিটি কাজের সাথেই মস্তিষ্কের তাৎক্ষনিক সংযোগ গড়ে ওঠে এবং মানুষ হিসেবে আমরা কে, কেমন, এই সংযোগগুলোই সেটা নির্ধারণ করে দেয়। পর্নোগ্রাফী দেখা একটি নীরব অথচ ভয়ঙ্কর সমস্যা যা মহামারীর আকার ধারণ করেছে। এর মাধ্যমে নারীদের চাইতে পুরুষরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

আল্লাহর দর্শন


আল্লাহর দর্শন

 আল্লাহর দর্শন


আল্লাহর দর্শন

আল্লাহ তা‘আলার দিদার প্রতিটি মু’মিনের চির আকাঙ্ক্ষা। মু’মিনের জন্য জান্নাতে সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার হলো আল্লাহর দর্শন; কিন্তু দুনিয়াতে কি স্বচক্ষে বা স্বপ্নে আল্লাহকে দেখা সম্ভব? আহলে সুন্নত ওয়াল জামা‘আতের সর্বসম্মত মত হলো, দুনিয়াতে স্বচক্ষে সরাসরি আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয়। এমনকি নবী রাসূলগণও দেখেন নি। স্বপ্নে দেখার ব্যাপারে তারা মতানৈক্য করেছেন। অধিকাংশ ‘আলেমের মতে স্বপ্নে আল্লাহকে দেখা সম্ভব; তবে সে যে আকৃতিতে আল্লাহকে দেখেছে তা আল্লাহর হাকীকি বা আসল আকৃতি নয়।
এক ব্যক্তির দাবী যে, সে স্বপ্নে আল্লাহকে দেখেছে। কেউ কেউ বলে থাকেন, ইমাম আহমদ রহ. একশত বার স্বপ্নে আল্লাহকে দেখেছেন। একথাটা কি সঠিক?
আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বা‘য রহ. বলেছেন, “শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. ও অন্যান্য আলেমগণ বলেছেন, মানুষ স্বপ্নে আল্লাহকে দেখতে পারে; তবে সে যে আকৃতিতে আল্লাহকে দেখেছে তা আল্লাহর হাকীকি বা আসল আকৃতি নয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলার সদৃশ কিছুই নেই। আল্লাহ বলেছেন,
﴿لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ ١١ ﴾ [الشورى: ١١]
“তাঁর মত কিছু নেই আর তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা”। [সূরা আশ-শূরা, আয়াত: ১১]

ভালবাসা দিবস উদযাপন করার বিধান

ভালবাসা দিবস উদযাপন করার বিধান 


ভালবাসা দিবস উদযাপন করার বিধান

প্রশ্ন: ভালবাসা দিবসের বিধান কি?

উত্তর:
আলহামদুলিল্লাহ।

এক:

বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালন একটি রোমান জাহেলি উৎসব। রোমানরা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করার পরেও এ দিবস পালনের প্রথা অব্যাহত রাখে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭০ খ্রিস্টাব্দে ভ্যালেন্টাইন নামক একজন পাদ্রির মৃত্যুদণ্ডের সাথে এ উৎসবটি সম্পৃক্ত। বিধর্মীরা এখনো এ দিবসটি পালন করে, ব্যভিচার ও অনাচারের মধ্যে তারা এ দিবসটি কাটিয়ে থাকে।

স্বামী ফজরের নামাযের সময় উঠতে পারবে না, ঘুমিয়ে থাকবে বিধায় স্ত্রী তাকে সহবাস করতে বাধা দেয়া কি ঠিক হবে?

স্বামী ফজরের নামাযের সময় উঠতে পারবে না, ঘুমিয়ে থাকবে বিধায় স্ত্রী তাকে সহবাস করতে বাধা দেয়া কি ঠিক হবে?

 স্বামী ফজরের নামাযের সময় উঠতে পারবে না, ঘুমিয়ে থাকবে বিধায় স্ত্রী তাকে সহবাস করতে বাধা দেয়া কি ঠিক হবে?


প্রশ্ন: আমি একজন বিবাহিত নারী। একজন দ্বীনদার মানুষের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। আলহামদু লিল্লাহ তার অনেক ভাল গুণ রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে- তার ঘুম খুব ভারী। ঘুমালে ফজরের নামাযের জন্য সহজে উঠতে পারে না। অধিকাং সময় সে যদি জুনুবি অবস্থায় (নাপাক অবস্থায়) থাকে সে ঘুম থেকে উঠতে পারে না। এতে কি আমার গুনাহ হবে? আমি নিশ্চিতভাবে জানি যে, আমি যত চেষ্টা করি না কেন সে নামাযের জন্য উঠতে পারবে না। বিশেষতঃ সে যখন সফর থেকে আসে অথবা ক্লান্ত থাকে। তাই তার নামাযের কারণে আমি কি (সহবাস) থেকে বিরত থাকতে পারি?

Tuesday, July 28, 2015

শিশুর নৈতিকতা গঠনে পারিবারিক শিক্ষা ও পর্দা অনুশীলনের গুরুত্ব

শিশুর নৈতিকতা গঠনে পারিবারিক শিক্ষা ও পর্দা অনুশীলনের গুরুত্ব



 শিশুর নৈতিকতা গঠনে পারিবারিক শিক্ষা ও পর্দা অনুশীলনের গুরুত্ব

আমাদের মা-বাবা, ভাই-বোন কে নিয়ে পরিবার গড়ে উঠে। একজন শিশু সন্তান জন্মের পর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের পূর্বে ৪-৫ বছর পরিবারে বেড়ে ওঠে। এ সময়টিতে তার মানসিক বিকাশ ও নৈতিক চরিত্র গঠন হয়ে থাকে। শিশুর মায়ের কোল তার শিক্ষার হাতে খড়ি। ফলে পরিবার থেকেই শিশু প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করে।
পরিবার মানব সন্তানের প্রথম শিক্ষা নিকেতন। ছেলে-মেয়েদের জীবনে পারিবারিক শিক্ষার মূল্য অনেক। সন্তানের মূল্যবোধ, আখলাক, চেতনা ও বিশ্বাস জন্ম নেয় পরিবার থেকেই। পিতা-মাতার সঠিক লালন-পালনে সন্তানরা সফল হতে পারে। পিতা-মাতা যে আদর্শ লালন করেন তাদের সন্তানরাও তাই ধারণ করার চেষ্টা করে। হাদীস শরীফে এসেছে,
«كل مولود يولد على الفطرة فأبواه يهودانه أو ينصراه أو يمجسانه».
“প্রত্যেক নবজাতক স্বভাবধর্মের (ইসলাম) ওপর জন্মগ্রহণ করে। অত:পর তার পিতা-মাতা তাকে ইহুদী, খ্রিষ্টান বা অগ্নিপূজক বানান।”[1]

সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম বিশ্বকোষ (৩য় পর্ব)

সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম বিশ্বকোষ (৩য় পর্ব)

 


তৃতীয় অধ্যায়
সালাতুত তারাবীহ

রমযানে ঈমান ও সাওয়াবের আশায় যে রাত জেগে ইবাদত করে তার ফযীলত:
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»
“যে ব্যক্তি রমযানের রাতে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়”।[244]
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমযান সম্পর্কে বলতে শুনেছি,
«مَنْ قَامَهُ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»
“যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব লাভের আশায় কিয়ামে রমযান অর্থ্যাৎ তারাবীর সালাত আদায় করবে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে”।[245]

সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম বিশ্বকোষ (২য় পর্ব)

সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম বিশ্বকোষ (২য় পর্ব)



শা‘বান মাসের সাওম

‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ: لاَ يُفْطِرُ، وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ: لاَ يَصُومُ، فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ إِلَّا رَمَضَانَ، وَمَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِي شَعْبَانَ»
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধারে (এত বেশি) সাওম পালন করতেন যে, আমরা বলাবলি করতাম, তিনি আর সাওম পরিত্যাগ করবেন না। (আবার কখনো এত বেশি) সাওম পালন না করা অবস্থায় একাধারে কাটাতেন যে, আমরা বলাবলি করতাম, তিনি আর (নফল) সাওম পালন করবেন না। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমযান ব্যতীত কোনো পুরা মাসের সাওম পালন করতে দেখি নি এবং শা’বান মাসের চেয়ে কোনো মাসে বেশি (নফল) সাওম পালন করতে দেখি নি”।[164]
‘আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«لَمْ يَكُنِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَصُومُ شَهْرًا أَكْثَرَ مِنْ شَعْبَانَ، فَإِنَّهُ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّهُ وَكَانَ يَقُولُ: خُذُوا مِنَ العَمَلِ مَا تُطِيقُونَ، فَإِنَّ اللَّهَ لاَ يَمَلُّ حَتَّى تَمَلُّوا، وَأَحَبُّ الصَّلاَةِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا دُووِمَ عَلَيْهِ وَإِنْ قَلَّتْ، وَكَانَ إِذَا صَلَّى صَلاَةً دَاوَمَ عَلَيْهَا»
“নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শা‘বান মাসের চেয়ে বেশি (নফল) সাওম কোনো মাসে পালন করতেন না। তিনি (প্রায়) পুরা শা’বান মাসই সাওম পালন করতেন এবং বলতেন, তোমাদের সাধ্যে যতটুকু সাধ্য আছে ততটুকু (নফল) আমল কর। কারণ, তোমরা (আমল করতে করতে) ক্লান্ত হয়ে না পড়া পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা (সওয়াব দান) বন্ধ করেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে সর্বাপেক্ষা প্রিয় সালাতই ছিল তাই যা যথাযথ নিয়মে সর্বদা আদায় করা হত। যদিও তা পরিমাণে কম হো এবং তিনি যখন কোনো (নফল) সালাত আদায় করতেন পরবর্তীতে তা অব্যাহত রাখতেন”।[165]

সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম বিশ্বকোষ (১ম পর্ব)।

সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম বিশ্বকোষ (১ম পর্ব)।

1. ভূমিকা
2. প্রথম অধ্যয়: সাওমের পরিচয়, ইতিহাস ও তাৎপর্য
3. সাওমের পরিচয়, সাওমের অভিধানিক অর্থ
4. সাওমের ইতিহাস ও তাৎপর্য, যুগে যুগে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ে সাওম
5. সাওমের তাৎপর্য
6. দ্বিতীয় অধ্যয়: সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম
7. রমযানের সাওম ফরয হওয়া প্রসঙ্গে
8. রমযান ও সাওমের ফযীলত
9. আল্লাহর রাস্তায় সাওমের ফযীলত
10. সাওম গুনাহের কাফফারা
11. সাওম ঢালস্বরূপ
12. সাওম পালনকারীর জন্য জান্নাতে রাইয়্যান দরজা
13. রমযান নাকি রমযান মাস বলা হবে? কেউ কেউ বলেছেন, উভয়টি বলা যাবে?
14. রমযানের চাঁদ দেখা
15. যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় নিয়তের সাথে সাওম পালন করবে
16. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে অধিক দান করতেন
17. যে ব্যক্তি সাওম পালনের সময় মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করে নি
18. কাউকে গালি দেওয়া হলে সে কী বলবে, আমি সাওম পালনকারী?
19. অবিবাহিত ব্যক্তি যে নিজের ওপর ফিতনার আশংকা করে তার জন্য সাওম পালন করা
20. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, তোমরা চাঁদ দেখে সাওম পালন শুরু করবে, আবার চাঁদ দেখে সাওম থেকে বিরত থাকবে
21. চাঁদ দেখার ব্যাপারে সাক্ষ্য গ্রহণ
22. চাঁদ দেখতে কতজন সাক্ষ্য লাগবে?
23. প্রত্যেক দেশে আলাদা আলাদাভাবে চাঁদ দেখা, এক দেশে চাঁদ দেখলে তার হুকুম অন্যের জন্য যথেষ্ট নয়।
24. চাঁদ ছোট বা বড় দেখা ধর্তব্য নয়, আল্লাহ তা‘আলা দেখার জন্য বর্ধিত করে দিয়েছেন। আর যদি মেঘের কারণে দেখা না যায় তবে ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।
25. ঈদের দু’মাস কম হয় না
26. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: আমরা লিখি না এবং হিসাবও করি না
27. ইয়াওমুশ শক বা সন্দেহের দিনে সাওম পালন কর
28. অর্ধ শা‘বানের পরে নফল সাওম পালন করা
29. আল্লাহর বাণী: সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে
30. আর আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কালো রেখা থেকে স্পষ্ট হয়। অতঃপর রাত পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর
31. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: বিলাল রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুর আযান যেন তোমাদেরকে সাহরী থেকে বিরত না রাখে
32. সাহরী খাওয়ায় তাড়াতাড়ি করা
33. সাহরী ও ফজরের সালাতের মাঝে ব্যবধানের পরিমাণ
34. সাহরীতে রয়েছে অনেক বরকত কিন্তু তা ওয়াজিব নয়। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ একটানা সাওম পালন করেছেন অথচ সেখানে সাহরীর উল্লেখ নেই।
35. সাহরীতে যা খাওয়া মুস্তাহাব
36. আযান দেওয়া অবস্থায় কারো হাতে খাবারের পাত্র থাকলে কী করবে?
37. দিনের বেলায় (নফল) সাওমের নিয়াত করলে
38. সাওম পালনকারী জুনুবী অবস্থায় সকাল করলে।
39. সাওম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা
40. সাওম অবস্থায় চুম্বন করা
41. স্বামীর অনুমতিক্রমে স্ত্রীর নফল সাওম পালন
42. সাওম পালনকারীর গোসল করা
43. সাওম পালনকারী ভুলে কিছু খেলে বা পান করলে
44. সাওম পালনকারীর শুকনো ও ভেজা মিসওয়াক ব্যবহার করার হুকুম।
45. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: যখন অযু করবে তখন নাকের ছিদ্র দিয়ে পানি টেনে নিবে
46. রমযানে দিনের বেলায় সহবাস করলে
47. রমযানে দিনের বেলায় স্ত্রী সহবাস করলে সদকা দেওয়ার কিছু না থাকলে, সে যেন নিজে নিজেকে সদকা দিয়ে কাফফারাস্বরূপ আদায় করে।
48. রমযানে সাওম পালনকারী অবস্থায় যে ব্যক্তি স্ত্রী সহবাস করেছে সে ব্যক্তি কি কাফফারা থেকে তার অভাবগ্রস্ত পরিবারকে খাওয়াতে পারবে?
49. সাওম অবস্থায় শিঙ্গা লাগানো ও বমি করা
50. সফর অবস্থায় সাওম পালন করা ও না করা
51. সফর অবস্থায় কোন কাজের দায়িত্ব পালন করাকালীন সাওম ভঙ্গ করলে তার প্রতিদান
52. রমযানে কয়েক দিন সাওম পালন করে যদি কেউ সফর আরম্ভ করে
53. প্রচণ্ড গরমের কারণে যে ব্যক্তির উপর ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে তাঁর সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী: সফরে সাওম পালনে কোনো নেকী নেই
54. সফর অবস্থায় সাওম পালনের ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ একে অন্যকে দোষারোপ করতেন না
55. সফর অবস্থায় সাওম ভঙ্গ করা, যাতে লোকেরা দেখতে পায়।
56. যাদের সাওম পালন অতিশয় কষ্ট দেয় তাদের সাওমের পরিবর্তে ফিদইয়া তথা একজন মিসকীনকে খাদ্য দেওয়া
57. রমযানের কাযা সাওম কখন আদায় করা হবে?
58. ঋতুবতী মহিলা সালাত ও সাওম উভয়ই ত্যাগ করবে
59. ঋতুবতী মহিলা সাওমের কাযা করবে কিন্তু সালাতের কাযা করবে না
60. সাওমের কাযা যিম্মায় রেখে যে ব্যক্তি মারা গেল।
61. সাওম পালনকারীর জন্য কখন ইফতার করা হালাল
62. পানি বা সহজলভ্য অন্য কিছু দিয়ে ইফতার করবে
63. ইফতার ত্বরান্বিত করা
64. মাগরিবের সালাতের পূর্বে ইফতার করা মুস্তাহাব এবং যে সব জিনিস দ্বারা ইফতার করা মুস্তাহাব
65. রমযানে ইফতার করার পরে যদি সূর্য দেখা দেয়
66. বাচ্চাদের সাওম পালন করা
67. সাওমে বেসাল বা বিরতিহীনভাবে সাওম পালন করা
68. যে অধিক পরিমাণ সাওমে বেসাল পালন করে তাঁকে শাস্তি প্রদান
69. সাহরীর সময় পর্যন্ত সাওমে বেসাল পালন করা
70. কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের নফল সাওম ভঙ্গের জন্য কসম দিলে এবং তার জন্য এ সাওমের কাযা ওয়াজিব মনে না করলে, যখন সাওম পালন না করা তার জন্য উত্তম হয়
71. সাওমের নিয়ত করা এবং যে ব্যক্তি রাতের বেলায় রমযানের সাওমের নিয়ত করবে না তার সাওম আদায় হবে না
72. নফল সাওমের নিয়ত দিনের বেলায় সূর্য হেলে যাওয়ার পূর্বে করা জায়েয এবং নফল সাওম পালনকারীকে উযর ব্যতীতই সাওম ভঙ্গ করানো জায়েয।
73. শা‘বান মাসের সাওম
74. মুহাররম মাসের সাওম পালনের ফযিলত
75. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাওম পালন করা ও না পালনের বর্ণনা
76. নফল সাওম পালনের ব্যাপারে মেহমানের হক
77. নফল সাওমে শরীরের হক
78. সারা বছর সাওম পালন করা
79. সাওম পালনের ব্যাপারে পরিবার পরিজনের হক
80. একদিন সাওম পালন করা একদিন ছেড়ে দেওয়া
81. দাউদ আলাইহিস সালামের সাওম
82. সাওমে বীয বা প্রতিমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে সাওম পালন করা
83. সাওম পালনকারী কারো দাওয়াতে সাড়া দেওয়া
84. সাওম পালনকারীকে খাবারের জন্য ডাকলে সে যেন বলে, আমি সাওম পালনকারী
85. কারো সাথে দেখা করতে গেলে নফল সাওম ভঙ্গ না করা
86. সাওম পালনকারীকে ইফতার করানোর সাওয়াব
87. মাসের শেষভাগে সাওম পালন
88. জুমু‘আর দিনে সাওম পালন
89. সাওম পালনের ব্যাপারে কোন দিন কি নির্দিষ্ট করা যায়?
90. শাওয়াল মাসে ছয়টি সাওম পালন
91. যিলহজ মাসের সাওম পালন
92. ‘আরাফাহ দিবসে সাওম পালন
93. ঈদের দিনে সাওম পালন
94. কুরবানীর দিনে সাওম পালন
95. আইয়ামুত তাশরিকে সাওম পালন
96. আশুরার দিনে সাওম পালন
97. সোমবার ও বৃহস্পতিবার সাওম পালন
98. কেউ স্বাভাবিক সাওমের সাথে অন্য কিছু যেমন চুপ থাকা ইত্যাদি মিশ্রিত করে
99. রমযানে ‘উমরা পালনের ফযীলত
100. তৃতীয় অধ্যয়: সালাতুত তারাবীহ
101. রমযানে ঈমান ও সাওয়াবের আশায় যে রাত জেগে ইবাদত করে তার ফযীলত
102. রমযানে রাতে কত রাকা‘আত সালাত?
103. লাইলাতুল কদরের মর্যাদা
104. শেষ সাত রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করবে
105. শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর তালাশ করা
106. মানুষের ঝগড়ার কারণে লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট তারিখ হারিয়ে যায়
107. লাইলাতুল কদরের ‘আলামত
108. লাইলাতুল কদরে যেসব দো‘আ পড়া মুস্তাহাব।
109. রমযানের শেষ দশকের আমল
110. চতুর্থ অধ্যয়: ই‘তিকাফ
111. রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা, সব মসজিদে ইতিকাফ করা
112. হায়েযপ্রাপ্তা ব্যক্তি ইতিকাফকারীর চুল আঁচড়ানো
113. ই‘তিকাফকারী প্রয়োজন ব্যতীত গৃহে প্রবেশ না করা
114. ইতিকাফকারীর গোসল
115. রাতে ই‘তিকাফ করা
116. মহিলাদের ই‘তিকাফ
117. মসজিদে ইতিকাফ করার উদ্দেশ্যে তাঁবু খাটানো
118. ই‘তিকাফকারী কি প্রয়োজনে মসজিদের দরজায় বের হতে পারবে?
119. ই‘তিকাফ অধ্যয়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ তারিখ সকালে ই‘তিকাফের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন
120. মুস্তাহাযা বা রোগাক্রান্ত নারীর ইতিকাফ করা
121. ই‘তিকাফকারী স্বামীকে স্ত্রী দেখতে যাওয়া
122. ই‘তিকাফকারী কি নিজের থেকে সন্দেহ দূর করবে?
123. যে ব্যক্তি প্রত্যুষে ই‘তিকাফ থেকে ফিরে আসে
124. শাওয়াল মাসে ই‘তিকাফ করা
125. যারা সাওম ব্যতীত ই‘তিকাফ করা বৈধ মনে করেন
126. যে ব্যক্তি জাহেলী যুগে ই‘তিকাফের মানত করেছে সে তা ইসলামে প্রবেশ করলে তা আদায় করবে
127. রমযানের মধ্য দশকে ই‘তিকাফ করা
128. ই‘তিকাফের নিয়ত করে ই‘তিকাফ না করা
129. রোগ বা সফরের কারণে রমযানে ই‘তিকাফ করতে না পারলে
130. ই‘তিকাফকারী গোসলের জন্য মাথা ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া
131. ই‘তিকাফকারী কখন ই‘তিকাফের স্থানে প্রবেশ করবে
132. পঞ্চম অধ্যয়: সদাকাতুল ফিতর
133. সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে
134. মুসলিমদের গোলাম ও অন্যান্যের পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর আদায় করা
135. সদকাতুল ফিতর এক সা‘ পরিমাণ যব
136. সদকাতুল ফিতর এক সা‘ পরিমাণ খাদ্য
137. সদকাতুল ফিতর এক সা‘ পরিমাণ খেজুর
138. সদকাতুল ফিতর এক সা‘ পরিমাণ কিসমিস থেকে
139. ঈদের সালাতের পূর্বেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা
140. স্বাধীন ও গোলামের পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব
141. অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও প্রাপ্ত বয়স্কদের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব
142. ষষ্ঠ অধ্যয়: ঈদের সালাত
143. দু’ঈদ ও সুন্দর পোশাক পরিধান করা
144. ঈদের দিন বর্শা ও ঢালের খেলা
145. মুসলিমদের জন্য উভয় ঈদের রীতিনীতি
146. ঈদুল ফিতরের দিন সালাতে বের হওয়ার আগে আহার করা
147. কুরবানীর দিন আহার করা
148. মিম্বার না নিয়ে ঈদগাহে গমন
149. পায়ে হেঁটে বা সাওয়ারীতে আরোহণ করে ঈদের জামা‘আতে যাওয়া এবং আযান ও অকামত ছাড়া খুতবার পূর্বে সালাত আদায় করা
150. ঈদের সালাতের পরে খুতবা দেওয়া
151. ঈদের জামা‘আতে এবং হারাম শরীফে অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ
152. ঈদের সালাতের জন্য সকাল সকাল রওয়ানা হওয়া
153. ঈদের দিন বর্শা সামনে পুতে সালাত আদায় করা
154. ঈদের দিন ইমামের সামনে বল্লম বা বর্শা বহন করা
155. মহিলাদের ও ঋতুবতীদের ঈদগাহে গমন
156. বালকদের ঈদগাহে গমন
157. ঈদের খুতবা দেওয়ার সময় মুসল্লীদের দিকে ইমামের মুখ করে দাঁড়ানো
158. ঈদগাহে চিহ্ন রাখা
159. ঈদের দিন মহিলাগণের উদ্দেশ্যে ঈমামের উপদেশ দেওয়া
160. ঈদের সালাতে যাওয়ার জন্য মহিলাদের ওড়না না থাকলে
161. ঈদগাহে ঋতুবতী মহিলারা পৃথক অবস্থান করবে
162. ঈদের দিন ফিরার সময় যে ব্যক্তি ভিন্ন পথে আসে।
163. কেউ ঈদের সালাত না পেলে সে দু’রাকা‘আত সালাত আদায় করবে।
164. ঈদের সালাতের পূর্বে ও পরে সালাত আদায় করা
165. সপ্তম অধ্যয়: সংক্ষেপে পবিত্র রমযান মাসে আমাদের করণীয় ‘আমল
166. অষ্টম অধ্যায়: সাওম সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা

রোযাবস্থায় বীর্যপাত এবং স্বপ্নদোষের বিধান


রোযাবস্থায় বীর্যপাত এবং স্বপ্নদোষের বিধান

আলহামদুলিল্লাহ্ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ, আম্মাবাদঃ

রামাযান মাসে সাউম পালনকারী ভাইদের পক্ষ থেকে উপরোক্ত বিষয়ে প্রায় প্রায় প্রশ্ন করা হয়। এ সম্পর্কে শরীয়ার সঠিক বিধান না জানা থাকার কারণে অনেকে অনেক রকমের ধারণা করে। কেউ মনে করে তার রোযা নষ্ট হয়ে গেছে, কেউ বলে রোযা মাকরূহ হয়ে গেছে, কেউ ভাবে তার দ্বারা গুনাহ হয়ে গেছে আর কেউ সংশয়ে থাকে। তাই সংক্ষিপ্তাকারে বিষয়টির শারঈ সমাধান উল্লেখ করার নিয়ত করেছি। আল্লাহই তাওফীকদাতা।

প্রথমতঃ আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে, রোযা/ সাউম হচ্ছে, আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে ফজর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার ও যৌনসঙ্গম হতে বিরত থাকা। [ফাতহুল বারী, ৪/১৩২] তাই যৌন সঙ্গম হচ্ছে রোযা ভংগের একটি অন্যতম কারণ।