Monday, July 27, 2015

সহিহ বাংলা হাদিস

"যে ব্যক্তি কামনা করে যে, তাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে,
তার কাছে মৃত্যু যেন এমতাবস্থায় উপস্থিত হয় যে,
আল্লাহ ও পরকালের প্রতি তার ঈমান আছে । এবং মানুষের সাথে এমন আচরণই করে, তাদের থেকে সে নিজে যেমনটি আশা করে।" ( সহিহ মুসলিম : ৬৯৬৪)  More Reding


আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহর নিকট সে ব্যক্তিই অধিক উত্তম যে ব্যক্তি সর্বাগ্রে সালাম দেয়। (তিরমিযীঃ ২৬৯৪)

আবূ মূসা আশ'আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ এক মু'মিন অন্য মু'মিনের জন্য দেয়ালের ন্যায়। এর এক অংশ অন্য অংশকে মজবুত করে। (এ কথা বলার সময়) তিনি তাঁর এক হাতের আঙ্গুল অন্য হাতের আঙ্গুলের মাঝে ঢুকিয়ে দেখান। (বুখারীঃ ৪৮১, ২৪৪৬; মুসলিমঃ ২৫৮৫)
"হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না।(রাব্বানা লা তু আখিজনা ইন্নাসিনা ওয়া আখতানা)" (সূরা বাকারাঃ ২৮৬)। এর জবাবে আল্লাহপাক বলেনঃ "আমি করলাম।" (মুসলিমঃ ১২৬) অর্থ্যাৎ এই প্রার্থনা মঞ্জুর হয়েছে।
আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজ গৃহে অন্তরীণ কুমারী মেয়েদের চেয়েও বেশি লজ্জাশীল ছিলেন। তিনি যদি এমন কিছু দেখতেন যা তিনি অপছন্দ করেন, তবে আমরা তা তাঁর চেহারায় [ফুটে উঠা অভিব্যক্তি থেকে] সনাক্ত করতে পারতাম।
(বুখারীঃ ৬১০২; মুসলিমঃ ২৩২০)

এমন কেউ যে “আল্লাহ ব্যতীত কোন প্রকৃত উপাস্য নেই ও আমি আল্লাহর রসুল” – এই ঘোষণা সহ আল্লাহর সামনে উপস্থিত হবে এবং এই ঘোষণা সম্পর্কে কোন সন্দেহ
রাখবেনা – সে জান্নাতে যাবে। - (সহীহ মুসলিম)
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ হে মুসলিম নারীগণ! কোন নারী যেন তার প্রতিবেশী নারীকে ছাগলের খুর হলেও তা উপহার দিতে তুচ্ছ মনে না করে। - (বুখারীঃ ৬০১৭; মুসলিমঃ ১০৩০)
নবী (সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন: “যে ভালকাজের পথ প্রদর্শন করল, তার জন্য রয়েছে এর সম্পাদনকারীর অনুরূপ সওয়াব” (মুসলিম)
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ শাহাদাত অর্জনকারী ব্যক্তি মৃত্যুর কোন কষ্ট অনুভব করে না, তবে তোমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি পিঁপড়ের কামড়ে যতটুকু কষ্ট অনুভব করে শুধুমাত্র ততটুকুই অনুভব করে। (তিরমিযীঃ ১৬৬৮,
মিশকাতঃ ৩৮৩৬)



আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উঠার আগে তাওবাহ্ করবে তার তাওবাহ্ আল্লাহ তা'আলা কবূল করবেন। (মুসলিমঃ ২৭০৩)
"অপদস্থ হোক সেই লোক, যার নিকট রামাদান আসল কিন্তু তাঁর গুনাহ মাফ হবার আগেই চলে গেল..." (তিরমিযী)
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ মানুষের ভেতর দু'টি ত্রুটি থাকলে তা তাদের কুফরীর কারণ হয়ঃ বংশের প্রতি দোষারোপ করা এবং মৃতের জন্য বিলাপ করা। (মুসলিমঃ ৬৭)
জুনদুব ইবনু 'আবদুল্লাহ ইবনু সুফ্ইয়ান (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ মানুষ কে শোনানোর জন্য যে লোক কাজ করে তার দোষ-ত্রুটি আল্লাহ মানুষের গোচরীভূত করবেন। আর মানুষ কে দেখানোর জন্য যে লোক কাজ করে তার সমস্ত দোষ-ত্রুটি আল্লাহ মানুষকে দেখিয়ে দিবেন। (মুসলিমঃ২৯৭৮, ২৯৮৭; বুখারীঃ ৬৪৯৯)
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ সেই বান্দার উপর আল্লাহ অবশ্যই সন্তুষ্ট থাকেন, যে এক গ্রাস খাদ্য গ্রহণ করেই তাঁর প্রশংসা করে এবং এক ঢোক পানীয় পান করেই তাঁর প্রশংসা করে ('আল-হামদু লিল্লাহ'
বলে) । (মুসলিমঃ ২৭৫৯)
জুনদুব ইবনু 'আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ জনৈক লোক বললো,
আল্লাহর কসম! অমুক লোককে আল্লাহ মাফ করবেন না। এতে মহান আল্লাহ তা'আলা বললেন, সে কে যে আমার নামে কসম করে বললো যে, অমুক ব্যক্তিকে আমি ক্ষমা করবো না! তাকে আমি ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমার সকল আমল বাতিল করে দিলাম। - মুসলিমঃ ২৬২১

বান্দাহর দু'আ কবূল করা হয় যাবৎ সে কোন গুনাহ করার বা আত্মীয় সম্পর্ক বিছিন্ন করার দু'আ না করে এবং যাবৎ সে জলদি না করে। প্রশ্ন করা হলোঃ হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)! জলদি কি? তিনি বললেনঃ দু'আকারী বলতে থাকে, আমি অনেক দু'আ করেছি, (আমি বেশি বেশি দু'আ করেছি) কিন্তু আমার দু'আ কবূল হতে দেখলাম না। ফলে সে হতাশ হয়ে আফসোস করে এবং দু'আ করা ছেড়ে দেয়। - (বুখারীঃ ৬৩৪০, মুসলিমঃ ২৭৩৫)
সাহল ইবনে হুনাইফ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যদি কোন লোক পবিত্র অন্তরে শাহাদাত লাভের উদ্দেশ্যে দু'আ করে তাহলে সে নিজের বিছানায় মারা গেলেও তাকে আল্লাহ শহীদদের স্তরে পৌঁছিয়ে দেবেন । (মুসলিমঃ ১৯০৯)

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা যে লোকের মঙ্গল চান তাকে বিপদে ফেলেন। (বুখারীঃ ৫৬৪৫)

'আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক এমন কোনো কাজ করলো যে বিষয় আমাদের কোন অনুমোদন বা সম্মতি নেই তা বর্জনীয়। (মুসলিম - ১৭১৮)
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ কোন লোকের মন্দ হবার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, তার মুসলিম ভাইকে সে অবজ্ঞা করে। (মুসলিমঃ ২৫৬৩, ২৫৬৪)

আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহর নিকট যে কথাটি সর্বাধিক প্রিয় সেটি কি আমি তোমাকে বলবো না ?
অবশ্যই আল্লাহর নিকট সর্বাধিক প্রিয় কথাটি হচ্ছে সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি । (মুসলিমঃ ২৭৩১)
জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে লোক মানুষকে দয়া করে না, তাকে আল্লাহ তা'আলা দয়া করেন না । (বুখারীঃ ৬০১৩,৭৩৭৬, মুসলিমঃ ২৩১৯)

বুরাইদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ অন্ধকারে পায়ে হেঁটে মসজিদে আগমনকারীদেরকে তোমরা ক্বিয়ামাতের দিনের পরিপূর্ণ আলোর সুসংবাদ দাও । (তিরমিযীঃ ২২৩, মিশকাতঃ ৭২১,৭২২)

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সহজ পন্থা অবলম্বন করো, কঠিন পন্থা অবলম্বন করো না,
মানুষকে সুসংবাদ দাও, বিরক্তি সৃষ্টি করো না । (বুখারীঃ৬৯, মুসলিমঃ১৭৩৪)
চোখের যিনা হচ্ছে তাকানো, জিহ্বার যিনা হচ্ছে কথা বলা, অন্তর তা কামনা করে এবং পরিশেষে যৌনাঙ্গ একে বাস্তবায়ন করে অথবা পরিত্যাগ করে । (বুখারী, মুসলিম)
মু'আবিয়াহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে আমি বলতে শুনেছিঃ মুয়ায্যিনগণ কিয়ামাতের দিন মানুষদের মাঝে সবচাইতে লম্বা ঘাড়বিশিষ্ট হবে । (মুসলিমঃ ৩৮৭)
'আব্দুল্লাহ ইবনু 'আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে,
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ সমগ্র দুনিয়াটাই সম্পদ। আর দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ হল সৎকর্মপরায়ণা স্ত্রী। ( মুসলিমঃ ১৪৬৭)
হযরত আবু কাতাদাহ সালামী (রা) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে বসার আগে সে যেন দুই রাকাত নামায পরে নেয়। বুখারীঃ প্রথম খন্ড, অধ্যায়ঃ ০৮ (নামায), হাদীসঃ ৪৩৫।

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি যে লোক বিশ্বাস রাখে সে যেন ভাল কথা বলে অথবা নীরব থাকে । (বুখারীঃ ৬০১৮, মুসলিমঃ ৪৭, ইমাম নববী (রহঃ) বলেন,
হাদীসটির বক্তব্য এ ব্যাপারে স্পষ্ট যে, কোন কথায় উপকার ও কল্যাণ নিহিত না থাকলে তা না বলাই কর্তব্য । অর্থাৎ- যেসব কথার মধ্যে কল্যাণ ও উপকার রয়েছে সেগুলো এ পর্যায়ভুক্ত । কিন্তু যদি কল্যাণের দিকটা সন্দেহপূর্ণ হয় তবে চুপ থাকাই ভাল ।
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বলতে শুনেছেনঃ যখন বান্দা ভাল-মন্দ চিন্তা না করেই কোন কথা বলে, তখন সে নিজেকে তার কারণে জাহান্নামের এত অতলে নিয়ে যায় যা পূর্ব ও পশ্চিমের দূরত্বের সমান । (বুখারীঃ ৬৪৭৭,৬৪৭৮,
মুসলিমঃ ২৯৮৮)

'আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা কোমল ও দয়াবান । তাই প্রতিটি কাজে তিনি কোমলতা ও দয়া পছন্দ করেন । (বুখারীঃ ৬২৫৬,৬৯২৭, মুসলিমঃ ২১৬৫)

উকবা ইবনে আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
আমি রাসূলুল্লাহকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতে শুনেছিঃ তোমার রব পাহাড়ের সুউচ্চ চূড়ায় অবস্থিত মেষপালকের প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে সালাতের জন্য আযান দেয় এবং সালাত আদায় করে । মহান আল্লাহ বলেন, তোমরা আমার এই বান্দাকে দেখ, সে আযান দিচ্ছে, সালাত কায়েম করছে এবং আমাকে ভয় করছে ।
ইবনে মাসঊ'দ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের প্রত্তেকের জন্য জান্নাত তার জুতার ফিতার চেয়েও কাছে, আর জাহান্নামও তেমনি । (বুখারীঃ ৬৪৮৮)

আবূ সা'ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন হাই তোলে, সে যেন হাত দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে । কারণ (মুখ খোলা পেলে তাতে) শয়তান প্রবেশ করে । (মুসলিমঃ ২৯৯৫)

আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা রোগীকে বা অসুস্থকে দেখতে যাও,
ক্ষুধার্তকে খাদ্য খাওয়াও এবং বন্দীদেরকে মুক্ত করো । (বুখারীঃ ৩০৪৬, ৫৬৪৯)
আবূ আইয়ূব খালিদ ইবনু যাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছিঃ যদি তোমরা গুনাহ্ না করতে তাহলে আল্লাহ তা'আলা এমন এক জাতি সৃষ্টি করতেন, যারা গুনাহ্ করে ক্ষমা চাইতো আর তিনি তাদের কে ক্ষমা করে দিতেন। - মুসলিমঃ ২৭৪৮
'আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তিদেরকে তোমরা গালি দিও না । কেননা যা কিছু তারা করেছে তার ফলাফল প্রাপ্তির জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে । (বুখারীঃ ১৩৯৩)

'আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। ইবনু উম্মে মাকতূম (রাঃ) রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মুয়াজ্জিন ছিলেন। আর তিনি ছিলেন অন্ধ। [সহীহ ও যঈফ সুনান আবু দাউদ। অনুচ্ছেদ - ৪২। হাঃ ৫৩৫]। এ হাদীসটি অন্ধ ব্যক্তির আযান দেয়া প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হল।
আবূ বাকরাহ্ নুফাই ইবনুল হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা আসমান ও যমীন যেদিন সৃষ্টি করেছেন যুগ বা সময় সেদিন হতে তার নির্দিষ্ট নিয়মে আবর্তন করছে। [বুখারীঃ ৩১৯৭, ৪৪৬২; মুসলিমঃ ১৬৭৯]। এটি একটি দীর্ঘ হাদীসের অংশ বিশেষ।
`উমার ইবনু আবূ সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
তিনি বলেন, আমাকে রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ শুরুতে বিসমিল্লাহ বলো, ডান হাতে খাদ্য খাও এবং তোমার সামনের খাবার হতে খাও। [বুখারীঃ ৫৩৭৬,

মুসলিমঃ ২০২২]। এ হাদীসটি পানাহারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হল।
ইবনু মাস'ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
নবী (সাঃ) বলেছেনঃ অকারণে কঠোরতা অবলম্বনকারীরা ধবংস হয়েছে। এ কথা তিনি তিনবার বললেন। (মুসলিমঃ ২৬৭০)। এ হাদীসটি ইবাদাত-বন্দেগীতে ভারসাম্য রাখা প্রসঙ্গে শিরোনামের অধীন।
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
নবী (সাঃ) বলেছেনঃ এমন অনেক ব্যক্তি জান্নাতে যাবে যাদের অন্তর পাখির অন্তরের মতো হবে (অর্থাৎ - তাদের মন নরম এবং আল্লাহর উপর তারা ভরসা করে) । (মুসলিমঃ ২৮৪০)

মু'আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে লোকের সর্বশেষ কথা হয় 'লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ', সে জান্নাতে যাবে। - আবূ দাউদঃ ৩১১৬, হাকিমঃ ১/৩৫১, সহীহ আল-জামিঃ ২৪৭৯।
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ অশোভনীয় কাজ হতে বিরত থাকা মানুষের ইসলামের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। হাদীসটি হাসান। তিরমিযী ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ এটি বর্ণনা করেছেন। - তিরমিযী (হাঃ ২৩১৭), সহীহ ইবনু মাজাহ (হাঃ ৩২১১)

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,আল্লাহ তোমাদের দেহ ও মুখমন্ডলের প্রতি ফিরেও দেখেন না, বরং তোমাদের অন্তরও আমলের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন । (মুসলিমঃ২৫৬৪)

কাব ইবনে ইয়াজ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ প্রত্যেক জাতির জন্য একটা ফিতনাহ (পরীক্ষার বস্তু) আছে । আমার উম্মাতের ফিতনাহ হলো সম্পদ । (সহীহ আত-তিরমিযীঃ ১৯০৫/২৩৩৬)

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কোন ব্যক্তিই ঈমানদার হতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে যা নিজের জন্য পছন্দ করে তার ভাই এর জন্য তাই পছন্দ করে । (বুখারীঃ ১৩, মুসলিমঃ ৪৫)
আবু মাস’উদ বাদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ সওয়াব লাভের আশায় কোন ব্যক্তি নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য যা ব্যয় করে তা সাদাকা (স্বরূপ) । (বুখারীঃ ৫৫,
মুসলিমঃ ১০০২)

আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন,
আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ উত্তম কোন কাজই অবজ্ঞা করো না, তা যদিও তোমার ভাইয়ের সাথে তোমার হাসিমুখে সাক্ষাৎ হয় । (মুসলিমঃ ২৬২৬)

উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী (সাঃ)-এর একদল সাহাবী খাইবারের যুদ্ধের দিন তার নিকট এলেন । তারা বলল, অমুক লোক শহীদ, অমুক লোক শহীদ । এভাবে তারা এক লোকের পাশ দিয়ে যাবার সময় বলল, অমুক লোক শহীদ । নবী (সাঃ) বললে

No comments:

Post a Comment